গত শনিবার কলকাতার মেয়ো রোডে উলটে যায় হাওড়া–মেটিয়াবুরুজ রুটের একটি মিনিবাস। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। পাশাপাশি আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাতে জানা যায়, বৈধ নথি ছাড়াই বাসটি চলছিল। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে পরিবহণ দফতর। বৈধ নথি ছাড়া কত সংখ্যক বাস কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে চলছে? তা জানতে তৎপর হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সেক্ষেত্রে বৈধ নথি ছাড়া বাস চললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যেসব বাস চলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
পরিবহণ দফতর জানতে পেরেছে, মেয়ো রোডে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির চাকা রিসোল করা হয়েছিল। ব্রেকের সমস্যার পাশাপাশি বাসটির স্টিয়ারিংয়েও একাধিক সমস্যা ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে প্রাথমিক শর্ত পূরণ ছাড়া কীভাবে বাসটি রাস্তায় নামানো হয়েছিল। তাই বৈধ নথি না থাকা বাসগুলিকে চিহ্নিত করতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। প্রাথমিকভাবে পরিবহণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে অসংখ্য বাস রয়েছে যেগুলি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই চলছে। শুধু বেসরকারি বাস, মিনিবাসই নয়, অনেক সরকারি বাসও রয়েছে যেগুলির ফিটনেস সার্টিফিকেটের (সিএফ) মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মালিকদের বাস চালানোর প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবহণ দফতর। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যে কত সংখ্যক বাস বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলছে? তা জানার কাজ চলছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পরে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যাবে। তার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যদিও বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, ধরপাকড় এই ঘটনায় একমাত্র সমস্যা নয়। ধরপাকড় করার পরেও জরিমানা করে বাস ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সিএফ করা হচ্ছে না। তাই ধরপাকড় বা জরিমানায় একমাত্র রাস্তা নয়। এই কাজে পরিবহণ দফতর, পুলিশ এবং বেসরকারি বাস মালিকদের সহযোগিতার ভিত্তিতে চলতে হবে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে মনে করছেন বেসরকারি মালিকরা। তাঁদের মতে, দুর্ঘটনা যে কোনও সময় ঘটতে পারে, যেকোনও দুর্ঘটনাই দুঃখজনক। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মত বেসরকারি বাস মালিকদের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup