কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে চাকরি হারানো ২৬৮ জন স্কুলে যেতে পারবেন। সোমবার এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে কী করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এমন নির্দেশ দিতে পারে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রাথমিকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত ২৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ বহাল রাখে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ। পরে জানা যায় এদের মধ্যে এক জন কলকাতা হাইকোর্টেরই নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন। ফলে বেআইনিভাবে নিযুক্ত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬৮। চাকরিতে ফেরানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সঙ্গে জানায়, এই মামলা ফেরত যাবে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জনকে মামলায় পক্ষ করতে হবে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য শুনতে হবে। তার পর রায় দেবে হাইকোর্ট।
এই নির্দেশের পর ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। আবেদন জানান, তাদের স্কুলে ফিরতে দেওয়া হোক। এমনকী চালু করা হোক বেতন। সেই মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যে সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিদেপ বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে ইচ্ছা করলে স্কুলে যেতে পারবেন বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জন।
এই নির্দেশের আইনি বৈধতা নিয়ে আইনজীবীরা দ্বিধাবিভক্ত। বিজ্ঞপ্তির সমর্থনে একাংশের মত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যেহেতু স্থগিতাদেশ রয়েছে তাই বরখাস্ত করার নির্দেশ কার্যকর হয় না। ফলে বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা স্কুলে যেতেই পারেন। পালটা যুক্তি দিয়ে অন্য অংশ বলছে, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে মানে বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ বৈধতা পায়নি। আদালত কোনও বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিলে সেক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সেই প্রথা ভঙ্গ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।