বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার সেই অর্জুনকেই নিশানা করলেন বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নে নাম না করে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আমরা তো আর মুখ্যমন্ত্রী করে দিতে পারি না। কারণ, সেই সংখ্যাও নেই। নয়ত সেটাও করে দেওয়া যেত।’
এদিন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখন নানা ইস্যুর পাশাপাশি অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গও ওঠে। তখন দিলীপ ঘোষ জানান, ‘উনি কী করবেন, জানি না। দলে অনেকেই এসেছেন। অনেকেই বেরিয়ে গেছেন।’ অর্জুন বিজেপি থেকে বেরিয়ে গেলে কী ক্ষতি হবে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘বিজেপি আছে আর বিজেপিকে যারা দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরাও রয়েছে।’ দলে থেকেও গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল অর্জুনের গলায়। তবে অর্জুনের এই যুক্তি যে একেবারেই ঠিক নয়, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘কারা নেতা আছে, বিধানসভায় নেতাকে। রাজ্য কমিটিতে কারা আছে। আমরা তো মুখ্যমন্ত্রী করতে পারব না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী করার মতো যথেষ্ট সংখ্যা নেই, না হলে মুখ্যমন্ত্রীও করে দেওয়া যেত। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কী চাইছেন বোঝা যাচ্ছে না। পুরনো কর্মীরা অনেক জায়গায় বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু যারা এসেছেন, তাঁদের অনেককে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁদের দায়িত্ব, যাদের সম্মান দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কিছু করে দেখানো আর সম্মানের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া।’
বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে ঘিরে দলবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে অর্জুনের। এদিন সকালেও বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও অর্জুনকে ফোন করেছিলেন। জানা যাচ্ছে, অর্জুন ফোন ধরেননি। এদিকে এদিন বিকেলে পার্ক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যাওয়ার কথা রয়েছে অর্জুনের। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এদিনই দলবদল করতে চলেছেন অর্জুন। সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।