পদ্ম শিবিরে যাওয়ার এক বছরের মধ্যেই ফের তৃণমূলে ফিরেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রাক্তন সভাপতি এবং দাপুটে নেতা বিপ্লব মিত্র। বিপ্লব মিত্রের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে নিজের জন্মদিনে মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বিপ্লব মিত্র এবং তাঁর ভাই বিজেপিতে সক্রিয় ছিলেন না। তাঁরা দল ছেড়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে না।
এদিন দিলীপবাবু জানান, ‘বিপ্লববাবু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। বিজেপির অনেক কর্মী মার খাচ্ছেন। বিরোধীদের এরাজ্যে কী অবস্থা তা তিনি উপলব্ধি করেছেন।’
রাজ্য রাজনীতির ইতিহাস বলছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের দাপুটে নেতা বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিন জেলা সভাপতির ঘর সামলেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের পরাজয়ের পরই দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে লোকসভা ভোটের টিকিট নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। দলের একাংশ অর্পিতাকে ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিলেও তাঁকে আবার প্রার্থী করেন তৃণমূলনেত্রী। সভাপতি পদ থেকে অপসারণের পরই গত বছর দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বিপ্লব। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি, এক ঝাঁক জেলা পরিষদ সদস্য, কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্যও।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে লকডাউন সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেছিলেন, শুক্রবার এবং শনিবার লকডাউন থাকছে না। এরপরই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এইরকম ছোটখাটো জমিদার অনেক আছে, যারা মৌরসিপাট্টা চালাচ্ছে। এরাজ্যে আদৌ আইনের শাসন আছে কিনা, কে চালাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পার্টিই সর্বেসর্বা।' রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মীদের সঙ্গে চাকরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। আইপিএস আইএএসদেরও কোনও সন্মান নেই।