‘যেই হাতি কাদায় পড়েছে আর চামচিকেরা একটু লাথি মারার চেষ্টা করছে, কিন্তু হাতি একচুয়ালি কাদায় পড়েনি। এরা নারদার সময়ও মনে করেছিল, সারদার সময়ও মনে করেছিল কাদায় পড়েছে মার লাথি। সন্দেশখালির সময়ও মনে করেছিল হাতি কাদায় পড়েছিল…মার লাথি…প্রি নারদা পরিস্থতিতে আমরা ১৮৪, আফটার নারদা পরিস্থিতিতে আমরা ২১১, প্রি সন্দেশখালি আমরা ২২পোস্ট সন্দেশখালি আমরা ২৯, আমি বলছি যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে অ্য়াটাক কার হয়, মানুষ ততবেশি তাকে আঁকড়ে ধরে আমি এটা বলতে চাইছি।’ বলছেন দেবাংশু।
সেই সঙ্গেই তিনি হিসেব দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বেড়েছিল ভোটের আগে। আর ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল আসন বেশি পেয়েছে তৃণমূল। আবার নারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ সামনে আসার আগে তৃণমূলের যত আসন ছিল পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই আসন সংখ্য়া আরও বেড়ে যায়।
এদিকে আরজি কর কাণ্ড নিয়েও অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। বিরাট অস্বস্তি। রাজনীতির বাইরেও অরাজনৈতিক লোকজনও বেরিয়ে আসছেন রাজপথে। প্রতিবাদে মুখর গোটা দেশ। দেশের বাইরে বিদেশের মাটিতেও প্রতিবাদ। হয়তো এমন ছবি আগে দেখেনি বাংলা। এবার প্রশ্ন এই ছবির প্রতিফলন কি বাংলার ভোটে পড়বে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে অনেকেই। কিন্তু উত্তর দেবে সময়। আর ভোট বলতে ২০২৬ সাল। তার আগে অনেকটা সময় পাবে তৃণমূল। এরপর একের পর এক ইস্যু আসবে বাংলায়। সেক্ষেত্রে বাংলার ভোটে আরজি কর ইস্যু, জুনিয়র ডাক্তারদের অরাজনৈতিক আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কোনও প্রভাব ফেলবে কি না সেটা বলবে সময়।
তবে দেবাংশু কার্যত বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে অ্য়াটাক কার হয়, মানুষ ততবেশি তাকে আঁকড়ে ধরে আমি এটা বলতে চাইছি।
অন্য়দিকে এভাবেও বলা যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ওঠে ততই ভোট বেশি পায়, আসন বেশি পায় তৃণমূল। সেক্ষেত্রে দেবাংশু কি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন এবার আরজি কর কাণ্ডের পরে ভোট এলেও কি আগের থেকে বেশি আসন পাবে তৃণমূল?
এই প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে তৃণমূলকেও। এই প্রশ্নটা নিয়ে চর্চা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আরজি কর ইস্যু নিয়ে এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও আগামীর ভোটে কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ বাংলার ভোট কার্যত কে কতটা ব্যক্তিগত সুবিধা পাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। যে রাজ্যের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা যায় সেখানে সরকারি বিরোধী ভোটকে শাসকদলের বিরুদ্ধে এককাট্টা করা কার্যত অসম্ভব। বাম ও বিজেপির মধ্য়ে ভোট ভাগাভাগির জেরেই এগিয়ে যেতে পারে তৃণমূল।