বিজেপির বৈঠকে কোনও কিছু আলোচনা হলে সেই খবর তাঁর কাছে চলে আসে। কিছুদিন আগে এমনই কথা তুলেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। চরবৃত্তি নিয়ে কুণালের মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর মতে, ‘কুণাল ঘোষকেই তো আমরা তৃণমূলে রেখেছি বিজেপির চর হিসেবে।’
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানান, ‘তৃণমূলে যে মিটিং হয়, তার খবর আমরা কুণাল ঘোষের কাছ থেকে পেয়ে যাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো কুণাল ঘোষকে জেল খাটিয়েছিলেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর কারো কোনও রাগ থাকে, তাহলে সেটা কুণাল ঘোষের আছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূলের বৈঠকের খবর কুণালের কাছ থেকেই বিজেপি পেয়ে যায়। যদিও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মন্তব্যের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি কুণালকে।
কিছুদিন আগেই বিজেপিতে অনুশাসনের ঘাটতি রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, দেশে যেমন চর থাকে, তেমনি প্রতিটি দলের মধ্যে খোচর বা দালাল থাকে। বিজেপিতেও যেমন আছে। তৃণমূলেও তেমন আছে। যারা একে অপরকে খবর দেয়।’ রাণাঘাটের সাংসদের ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, চর থাকার কোনও দরকার নেই। সাংসদ, বিধায়ক সহ বিজেপির ৮০ শতাংশ নেতাই এখন তৃণমূলে আসতে চাইছেন। তাঁরাই এখন দলের কথা বলে দিচ্ছেন।