নিউজ ১৮ বাংলায় নানা বিষয় নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মমতা বলেন, দিদিরা মায়ের বোনেরা সবসময় সঞ্চয় রাখতেন, যখন প্রবলেম দেখা দিত, হাতে পয়সা নেই,তখন তাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙে পয়সাটা খরচ করতেন। সেই থিম থেকে এই লক্ষ্মীর ভান্ডারটা নেওয়া।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে গর্বিত। বাংলার প্রায় ১ কোটি ২১ লক্ষ মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছে। সারা জীবন পাবেন। এটাতে আমাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভালো জিনিস কেউ যদি কপি করে তবে তাকে ওয়েলকাম করা দরকার। আমাদের কোনও রেস্ট্রিকশন নেই। দুচাকার বাইক থাকলে পাবে না। একটা স্মার্ট ফোন বা পাকা বাড়ি থাকলে পাবেন না। এমনটা নয়। আমাদেরটা সর্বজনীন।
মমতা বলেন, 'ওদের অনেক রেস্ট্রিকশন আছে। আমরা ২০২১ থেকে এটা চালু করে দিয়েছি।
আমরা কথা দিয়ে কথা রাখাটা আমাদের কাজ। কথা দিলে কথা রাখতে হয়। '
৫০টির বেশি প্রকল্প রয়েছে, প্রশ্ন করার আগেই সাংবাদিককে সংশোধন করে মমতা বলেন, ৯৪টি প্রকল্প রয়েছে।
মমতা বলেন, ‘গণতন্ত্রে একটা কথা মনে করি। গণতন্ত্রে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে মনে রাখতে নেই যে আমি একটা কেউকেটা, বা আমি একটা সর্বেসর্বা। আমি দীর্ঘদিন ধরে পথ চলতে চলতে হাজার হাজার কিমি পথ চলতে চলতে, ধাক্কা খেতে খেতে লড়াই করতে করতে করতে বিভিন্ন গ্রামের পাশ দিয়ে যেতে যেতে , শহরেরর পাশ দিয়ে যেতে যেতে আমার যখন যেটা চোখে পড়েছে সেটা আমি আমার ডাউন মেমোরি লেনে রেখে দিয়েছিলাম, তার মধ্য়ে যতদূর সম্ভব, আমার রাজকোষে অর্থ না থাকলে কীভাবে করব, কেন্দ্রের কাছে ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি পাইনি। আমাদের প্রাপ্য টাকা সবটা সামলে, ..সেটা আমি করতে পারব কি না ’
‘মায়েরা যখন সংসার চালান, সারা বছর যারা প্ল্যান করেন পুজোর জন্য় একটা বাজেট রাখতে হয়, উৎসবের জন্য় বাজেট রাখতে হয়। ইদের জন্য বাজেট রাখতে হয়… অর্থনৈতিক শক্তিটা থাকলে, কাজ করা সহজ হয়। ’
মমতা বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষ। আমার চিন্তাধারা আমি যেন সাধারণ থাকতে পারি। মানুষকে কথা দিলে কথা রাখার কাজ করি। আমি যতটা পেরেছি করেছি। কথা দিয়ে কথা না রাখাটা ঠিক নয়। ’
এরপর মমতা বলেন, 'ফাইনান্স কমিশনকে যা বলেছি সেটা কনফিডেন্সিয়াল। কেন্দ্রীয় সরকার কথায় কথায় সেস বসিয়ে দেয়। নামটাও তারা দেয়…'