কালীঘাটে বৈঠকে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর আগেও গিয়েছিলেন। কিন্তু দোরগোড়া থেকেই ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এবার তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করেছেন বলে খবর। সেই সঙ্গেই মুখ্য়মন্ত্রী যে অফিসঘরে বসেন সেখানেই তাঁরা বৈঠকে বসেছেন বলে খবর। সঙ্গে করে দুজন স্টেনোগ্রাফারকেও তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁরা বার বার জানিয়েছেন ৫ দফা দাবির ভিত্তিতেই তাঁরা আলোচনা করবেন। এবার প্রশ্ন সোমবারের এই বৈঠক কি আদৌ ফলপ্রসূ হবে?
গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে রয়েছে এই বৈঠকের দিকে। তবে বৈঠকে যাওয়ার আগেই চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কালীঘাটে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন না। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কালীঘাটে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। এখানে ফিরে এসে সকলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাতে আন্দোলন আরও দীর্ঘ বা তীব্র হলে হবে।
অর্থাৎ তাঁরা বৈঠক থেকে বেরিয়েই কোনও সিদ্ধান্ত জানাবেন না। বৈঠক শুরু হয়েছে। কিন্তু তাঁরা সিদ্ধান্ত জানাবেন ধর্নাস্থলে এসে। অর্থাৎ কালীঘাটের মিটিংয়ের পরেই কর্মবিরতি সঙ্গে সঙ্গে উঠে যাবে এমনটা নয়।
সামনেই পুজো। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে একেবারে বরফ গলে জল হয়ে যাবে তা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সম্ভব। কারণ জুনিয়র ডাক্তাররা একাধিক পদস্থ আধিকারিকের ইস্তফার দাবি রেখেছেন। সেটা কি মেনে নেবেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী?
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দিয়েছেন, ভণ্ডামি করছেন, বাড়াবাড়ি করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের পেছনে কোনও রাজনৈতিক শক্তি আছে। রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীকে বিশ্বাস নেই? মাইনে নেওয়ার সময় বিশ্বাস হয়। পদোন্নতির সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিশ্বাস হয়? যাঁরা করছেন দ্বিচারিতা করছেন, অন্যায় করছেন। বাংলার মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।
তবে মিটিংয়ে যাওয়ার আগে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, ওঁরা বলছেন আমাদের ঔদ্ধত্য রয়েছে। বৈঠক করতে চাই না। এটা ভুল। আমরা দেখতে চাই। ওঁরা কতটা কথা বলতে চান। আমাদের ন্যায় বিচারের লড়াই। তাঁরা ন্যায়বিচারের লড়াইকে কতটা নিয়ে যেতে পারেন দেখছি।
এদিকে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, ‘দুই পক্ষেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে সেটা শেষ হোক। বাচ্চাগুলি আমার সন্তানের মতো। আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ওরা এত কষ্ট করছে, সত্যি আমাদেরও সেটা কষ্ট দিচ্ছে। কিছু একটা সমাধান বের হোক। স্বচ্ছতার সঙ্গে আলোচনায় বসে মুখ্যমন্ত্রী সমাধান করে নিন। আমরা এটাই চাই।’