বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ওয়েইসি উদয়ের বিরোধিতায় সরব হলেন ইমামরা। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। তাদের স্পষ্ট দাবি, ভোটে বিজেপিতে সুবিধা করে দিতে পশ্চিমবঙ্গে আসার পরিকল্পনা করছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM. এমনকী ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে ধর্মগুরু বলে মানতেও অস্বীকার করেন তিনি।
গত রবিবার সকালে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওবেইসি। এর পরই রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়। বৈঠক শেষে আসাদউদ্দিন জানান, পশ্চিমবঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির কথাতেই চলবে AIMIM. কিন্তু বাম – কংগ্রেস ও তৃণমূলের দাবি, মুসলিম ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিতে পশ্চিমবঙ্গে আসছে মিম।
সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ সীমানা লাগোয়া সেরাজ্যের ৫টি আসনে জেতে মিম। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় দলটির সংগঠন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ওয়েইসির আগমণে বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়েছে ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। তাদেরও দাবি, মুসলিম ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে আসছে মিম। যেখানে বিজেপি যায় পিছন পিছন পৌঁছে যায় তারা। সঙ্গে তাদের প্রশ্ন, দেশে কোথাও মুসলিমদের ওপর অত্যাচার হলে কেন মুখ খোলেন না ওয়েইসি?
এদিন সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় আব্বাস সিদ্দিকি কোনও ধর্মগুরু নন। সঙ্গে জানানো হয়, বিধানসভা নির্বাচনে AIMIM এরাজ্যে রাজনীতিতে নামলে পালটা রাজনীতিতে নামবে ইমাম অ্যাসোসিয়েশনও।
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটার। রাজ্যের প্রায় ১০০টি আসনের ফল নির্ধারণে মুসলিম ভোটারদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যা নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে। মুসলিম ভোট হাতে রাখতে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ইমাম ভাতা চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে দেশজোড়া বিতর্ক হয়েছে। হয়েছে মামলাও। কিন্তু ভাতা বন্ধ করেননি মমতা ।