নতুন দফতরের দায়িত্ব নিয়েই পুরনো উদ্যমে আগামীর লক্ষ্যে ঝাঁপালেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া সমস্যাগুলি মেটানোর পাশাপাশি জোর দিলেন কলকাতা শহরে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির সংখ্যাবৃদ্ধিতে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে শহরে বৈদ্যুতিন গাড়ির চার্জিং স্টেশন তৈরি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করতে আধিকারিকদের নির্দেশ তিনি। তবে বারবার জানালেন পুরসভার প্রশাসক হিসাবে কলকাতায় করোনা নিয়ন্ত্রণ তাঁর প্রথম লক্ষ্য।
এদিন প্রথমবারের জন্য নতুন দফতরে গিয়ে দফতরের সমস্ত সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘তেলের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে লড়াই করতে ও কলকাতা শহরকে দূষণমুক্ত রাখতে বৈদ্যুতিন গাড়ি চালানোয় জোর দেবে পরিবহণ দফতর। বিশেষ করে কলকাতা শহরে বৈদ্যুতিন গাড়িতে জনপ্রিয় করতে পরিকল্পনা তৈরি করবে তাঁর দফতর’।
ফিরহাদ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি আমাদের হাতে নেই। কেন্দ্র দাম বাড়ায়। তাই আমাদের এর হাত থেকে বাঁচতে ভবিষ্যতে ইলেক্ট্রিক গাড়ির দিকে যাওয়া ছাড়া রাস্তা নেই। পরিবহণ দফতরকে বলেছি কলকাতায় বৈদ্যুতিন বাসের সংখ্যা বাড়াতে। ধীরে ধীরে পুরোটাই বৈদ্যুতিন গাড়ি করে ফেলতে হবে। এতে দূষণও হয় না। ফলে শহরের বাতাস পরিচ্ছন্ন থাকবে।’
পরিবহণমন্ত্রী জানান, কলকাতায় বৈদ্যুতিন গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামো তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে গাড়ির দাম কী করে কমানো যায় সেব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে যারা ১৫ বছরের পুরনো জ্বালানি তেল চালিত গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিন গাড়ি নিতে চান তাদের কিছুটা ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবে তাঁর দফতর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদ্যুতিন গাড়িই ভবিষ্যৎ। ইতিমধ্যে প্রথম বিশ্বের বহু দেশে যাত্রীপরিবহণে জ্বালানিচালিত গাড়ি নিষিদ্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎচালিত গাড়ি প্রতি কিলোমিটার যাত্রার খরচ যেমন কম তেমনই এই গাড়ি থেকে কার্যত কোনও দূষণ ছড়ায় না। এই গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জ্বালানি তেল চালিত গাড়ির তুলনায় নগন্য। তাই সঠিক পথেই পা বাড়িয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ।