সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান, বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না: সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনে মমতা
১ মিনিটে পড়ুন .Updated: 23 Dec 2020, 07:47 PM IST
লেখক Debasish Podder
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে বিভিন্ন শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সে কথাও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে সারা বাংলায় ৬৩০টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এর ফলে এই পরিস্থিতি শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।’
ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনীতি থেকে বাদ পড়ছে না অরাজনৈতিক মঞ্চও। অল্প হলেও তাতে লাগছে রাজনীতির রঙ। সোমবার বড়দিনের উৎসবের সূচনা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ২৫ ডিসেম্বরে জাতীয় ছুটি না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সঙ্গীত মেলার মঞ্চে সম্প্রীতি নিয়ে কথা বলার সময় বিজেপি–র বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। সাফ জানালেন, ‘বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না।’
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এবার সঙ্গীত মেলার আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার এই সঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধন করেই সকলকে বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সম্প্রীতির সবচেয়ে বড় জায়গা হল সঙ্গীত। মানবজীবনে কোনও বিভেদ নেই। এরকম সঙ্গীতমঞ্চ বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এই পরিবারকে দয়া করে ভাঙতে দেবেন না। সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান। বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না।’
এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে বিভিন্ন শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সে কথাও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে সারা বাংলায় ৬৩০টি মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। এর ফলে এই পরিস্থিতি শিল্পীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।’ এদিন সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমঞ্চে এক শিল্পীর সঙ্গে নাচে পা মেলাতও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনে পায়ে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য : পিটিআই (PTI)
উল্লেখ্য, প্রায় ৫ হাজার শিল্পীর উপস্থিতিতে আগামী ৮ দিন ধরে চলবে এই সঙ্গীত মেলা, মোহরকুঞ্জের মুক্তমঞ্চ ছাড়াও শহরের একাধিক জায়গায় গানের এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন শিল্পী অসীমা মুখোপাধ্যায়কে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ পুরস্কারে ভূষিত করে রাজ্য সরকার। এবং পল্লব ঘোষ, মণিকমল ছেত্রি, জয়তী চক্রবর্তী, মিনা মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা হেমব্রম, নুর আলম–সহ মোট ১৪ জন শিল্পীর তুলে দেওয়া হয় ‘সঙ্গীত সম্মান’ পুরস্কার।