আমি কিছু করে থাকলে ইডি সিবিআই লাগবে না আমি নিজে গিয়েই মৃত্যুবরণ করব। প্রতিটি সভাতেই এই কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এবার শহিদ মিনারের সভা থেকে তিনি কিছুটা অন্যরকম বললেন। কিছুটা বিস্ফোরকও। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেই মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেছিল সিবিআই। অভিষেকের এই বক্তব্যের পরে বাংলার রাজনীতিতে জোর আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে।
অভিষেক বলেন, এই তো মদন দা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও জেলে ছিলেন। এদের বলা হয়েছিল আমার নাম নিলেই ছেড়ে দেবে। আমার জন্য আলাদা আইন করার দরকার নেই। যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাহলে যাই হোক না কেন, যে ইস্যুতেই হোক না কেন এই শহিদ মিনারেই ফাঁসির মঞ্চকে বরণ করে নেবে।
শেষের কথা গুলি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখে বহুবার শুনেছেন বাংলার মানুষ। তবে প্রথম কয়েকটি লাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন বার বার তাকে টার্গেট করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে অনেকের কাছেই বিষয়টি নতুন বলে মনে হচ্ছে।
তবে আইন কেন সকলের জন্য সমান হবে না তানিয়েও এদিন অভিষেক বার বার প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর সাফ কথা বিজেপির ক্ষেত্রে এক আইন আবার অন্যদের ক্ষেত্রে আলাদা আইন কেন? এর সঙ্গে কখনও দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ, কখনও আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে তোপ দাগেন অভিষেক।
তাঁর প্রশ্ন দিলীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? বিজেপি করে তাই? আমি তো তৃণমূল করি তাই আলাদা আইন? বিজেপি করলেই আইন আলাদা আর তৃণমূল করলে আইন আলাদা? এটা হতে পারে না। রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে আইন, নরেন্দ্র মোদীর জন্যও একই আইন।
অভিষেকের প্রশ্ন বিজেপির কাছে সততা শিখতে হবে? এমনকী আন্দোলন দিল্লির বুকে হবে বলেও এদিন হুঙ্কার দেন অভিষেক। তাঁর দাবি মোদীও ভোটের আগে দিদি ও দিদি বলে ডেকে নারীদের অসম্মান করেছেন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup