ফ্যান চালানোর মরশুম এসে গিয়েছে। ক্রমেই রোদের তেজ বাড়ছে। রাতের দিকেও আর ঠান্ডার ভাব নেই। এই আবহে ফ্যান থেকে ক্রমেই এসির প্রয়োজন হয়ে পড়বে বলে মত আবহাওয়াবিদদের। বসন্তের বিদায়ে বাংলার আকাশে এখন গরমের চোখ রাঙানি৷ আশঙ্কা, মার্চের শেষে না হলেও এপ্রিলের প্রথম দিকেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পার করতে পারে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এপ্রিল-মে মাসে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়বে বাংলা।
শুক্রবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি এবং ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘোরাফেরা করবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই৷ শুক্রবার গোটা দক্ষিণবঙ্গের আকাশ রোদ ঝলমলে থাকবে। এর আগে কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য কমে ২০.২ ডিগ্রিতে ছিল। তবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও পাহাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷ দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার কয়েকটি জায়গায় আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে৷
এদিকে আইএমডি কর্তা ডাঃ এস বালাচন্দ্রন জানান, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্য অংশে সু-চিহ্নিত নিম্নচাপ এলাকা একটি গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। এটি পুদুচেরির পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে তামিলনাড়ু ও শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে যেতে পারে। ৪, ৫, ৬ মার্চ উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কাড়াইকালের উপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুদুক্কোত্তাই, কুদ্দালোর, চেঙ্গলপাট্টুতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।