প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নিত্যনতুন উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে যাচ্ছে মানুষ। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে ই-ওয়েস্ট। বাড়ির পুরনো কম্পিউটার, টিভি কিংবা মোবাইল সেট ফেলবেন কোথায়? এবার সেই সমস্ত বাতিল জিনিসপত্রই কিনে নেবে ওয়েবেল। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে একযোগে তারা এই বাতিল জিনিসপত্র কিনবে বলে সূত্রের খবর। এজন্য বিভিন্ন পাড়ায় তারা ক্য়াম্প খুলবে। সেখানেই এই বাতিল হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কেনা হবে।
অর্থাৎ একেবারে বিনা পয়সায় তারা এই সব জিনিসপত্র নিয়ে নেবে এমনটা নয়। প্রতিটি জিনিসের জন্য আলাদা দাম নির্ধারন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট দামের ভিত্তিতে সেই বাতিল হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কিনে নেবে ওয়েবেল।
ইতিমধ্য়েই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে ওয়েবেলের কাছে জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন। তিনি মূলত বাতিল হয়ে যাওয়া কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছেন ওয়েবেলের কাছে। তবে কেবলমাত্র মেয়র নন। আপনিও বিক্রি করতে পারেন ওয়েবেলের কাছে।
তথ্য প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, সব বাড়িতেই খুঁজলে প্রচুর বাতিল বাল্ব পাওয়া যাবে। যা আজ আর কাজে লাগছে না। তা কোনওদিন কাজে লাগবে না। জমিয়ে না রেখে এগুলো বিক্রি করে দিন।
পাড়ায় পাড়ায় মাঝেমধ্য়েই শুনতে পাওয়া যায় ফেরিওয়ালারা বাতিল হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র কেনার জন্য আসেন। কিন্তু বাস্তবে সেই সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে তারা কী করেন তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে এবার আর এসব নিয়ে চি্ন্তার কোনও কারণ নেই।
কারণ যেটা বলা হচ্ছে বাতিল হয়ে যাওয়া টিভি, রেডিও, মাইক্রোওয়েভ, ইনভার্টারে এমন ধরনের ধাতব জিনিস থাকে যে সেগুলি পরিবেশের মধ্য়ে গেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেকারণে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রক্রিয়াকরণ করাটা অত্যন্ত দরকার। সেটাই করবে ওয়েবেলের বিশেষ ইউনিট।
এজন্য় সোনারপুর আইটি পার্কে তৈরি হচ্ছে প্লান্ট। সেখানেই এই প্রক্রিয়াকরণ করা হবে। সেই অনুসারে এই বাতিল হওয়া জিনিসপত্র কেনা হবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। আর এই বাতিল হওয়া ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাংলায় এই কাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়তে পারে।
এদিকে কিছু ইলেকট্রনিক্সের জিনিসে ক্যাডমিয়ামের মতো ধাতু থাকে। এগুলি ফুসফুসের ক্যানসার, কিডনি বা লিভারের অসুখ তৈরি করতে পারে। সেকারণে যেখানে সেখানে ই-ওয়েস্ট ফেলে দিয়ে পরিবেশের আর নতুন করে ক্ষতি করাটা উচিত নয়।