বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মিম সংগঠনে ধরল বড়সড় ভাঙন। বৃহস্পতিবার ঘাসফুল শিবিরে শামিল হলেন মিমের (AIMIM) যুব দলের রাজ্য সভাপতি সফিউল্লাহ খান। আর এদিনই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন এআইএমআইএমের যুব দলের সমস্ত জেলা সভাপতি–সহ গোটা নেতৃত্ব। এমনই দাবি করেছেন সফিউল্লাহ। এদিন তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কয়েকদিন আগেও মুসলিম সম্প্রদায়ের এই রাজনৈতিক সংগঠনের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। আর এবার গোটা যুব দলটিই চলে এল তৃণমূলে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ রাজ্যের ২৩ জেলায় মিমের প্রায় ১০ লক্ষ সদস্য রয়েছে। এদিন সব জেলারই যুব সভাপতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সফিউল্লাহ খান।
এ ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতেই তৃণমূলে এলেন মিমের যুব নেতারা।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাংলার ভোটে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘এআইএমআইএম মুসলিম দল হিসেবে পরিচিত। আর তারা সেই ভোট নিয়ে বিজেপি–কে সাহায্য করতে চায়। তবে বাংলায় তিনি কিছু করতে পারবেন না।’
তবে এভাবে মিমের যুব দলের গোটা নেতৃত্ব তৃণমূলে চলে আসায় রাজ্যের শাসকদলের কাছে তা কিছুটা স্বস্তির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছুদিন আগেই মিমের মুখপাত্র অসীম ওয়াকার বলেছিলেন, ‘বিহারের পর এবার আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা ভোটে মিম সেখানে প্রার্থী দেবে। আমরা ৩ বছর ধরে সেখানে পরিশ্রম করছি। এখন ভোটে লড়ার জন্য সংগঠন তৈরি।’
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এআইএমআইএমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠন রয়েছে ওয়েইসির দলের। অতএব বিহারের পাশাপাশি এ রাজ্যের ভোটেও ওয়াইসির দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।