আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করবে দলের সংসদীয় কমিটি। উত্তর প্রদেশ ও অন্যান্য রাজ্যেও একই পন্থা অবলম্বন করেছিল কেন্দ্রের শাসকদল।
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতায় বিজেপি এলে কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথাই বললেন পশ্চিমবঙ্গ সফরকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির। তাঁর দাবি, নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে বাংলার নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবে বিজেপি।
অমিত শাহ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রচার করার কথা ভাবা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা নির্বাচন লড়ব ও জিতব। ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবে দল।’
বিধানসভায় ২২০-২৩০টি আসনে জেতাই আপাতত লক্ষ্য বিজেপি-র, দাবি বিজয়বর্গীয়র। লোক সভা নির্বাচনের মতোই বিধানসভাতেও যে তাঁরা নিশানা ভেদ করতে সফল হবেন, তাই নিয়ে নিশ্চিত নেতা।
শুক্রবার বাঁকুড়ায় গিয়ে অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তার প্রমাণ তিনি পথে আসার সময়েই বুঝতে পেরেছেন বলেও দাবি করেন শাহ।
বিজেপি সূত্রের খবর, জঙ্গলমহল ও রাঢ়বঙ্গে দলের জনপ্রিয়তা দেখে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন শাহ। সে জন্য এখন থেকেই তিনি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে বলেছেন দলীয় কর্মীদের।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্দিষ্ট করতে গেলে শাঁখের করাতের মুখে পড়তে পারে বিজেপি। তাই নির্বাচনে সফল হওয়ার জন্য তার বদলে প্রতিপক্ষের দুর্বলতাকেই পাখির চোখ করার কৌশল ঠাউরেছে গেরুয়া ব্রিগেড। ১৯৭৭ ও ২০১১ লোক বিধানসভা নির্বাচনের অতীত রেকর্ডও সেই তত্ত্বকেই সমর্থন করছে। ইতিহাস বলছে, সে সময়ও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী না রেখেই নির্বাচনে সাফল্য লাভ করে বামফ্রন্ট।