কয়েকদিন আগে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাতে নিজের কড়া মনোভাব চিঠিতে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। এবার সেই চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভার গরিমা নষ্ট করছেন রাজ্যপাল। ওনাকে আগেও বলা হয়েছে। কিন্তু উনি এই ধরনের কাজ বারবার করছেন। এতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গরিমা রাজ্যপাল নষ্ট করছেন। আর এই কাজের দরুণ তাঁর সম্মানহানিও হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন বিধানসভার স্পিকার? আজ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পিএসি নিয়ে রাজ্যপালের চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে। বলেছি, এটা উনি করতে পারেন না। এতে বিধানসভার গরিমা নষ্ট হচ্ছে। এমনকী রাজ্যপালকে বারবার বলা সত্ত্বেও কেন তিনি এটা করছেন? জানি না। আমি আশা করি উনি নিশ্চয়ই এটা অনুভব করতে পারবেন। আর ভবিষ্যতে এই ধরনের চিঠি দেওয়া বন্ধ করবেন। এখানকার বিষয়ে উনি কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবেন না।’
উল্লেখ্য, বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়ী হন মুকুল রায়। তারপর বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। ছাড়েননি বিধায়ক পদ। মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবেও তাঁকেই মনোনীত করা হয়। এই পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে যে দলের প্রতিনিধি সেই দলের অনুমোদন লাগে। অথচ বিজেপি কোনও অনুমোদন দেয়নি।
এই বিষয় নিয়ে বিধানসভায় একটি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লেথেন, ‘সংসদীয় ব্যবস্থার মর্যাদা ধরে রাখতে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’ আর এই চিঠি নিয়ে তরজা শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির অন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় বলেন, ‘সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, কার কোনটা এক্তিয়ার। রাজ্যপাল হঠাৎ নীরবতা ভেঙে নাক গলাচ্ছেন কেন? এই বিষয়ে ওনার কিছু বলার কথা নয়।’
পাল্টা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিতর্কের সূত্রপাত তো নিয়ম ভাঙা নিয়ে। স্পিকার কি অস্বীকার করতে পারবেন যে তিনি বারবার দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫ বছরে শুধু ২১–২২ বার শুনানি হয়েছে। এটা কি নিরপেক্ষতার পরিচয়?’ এবার রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে অধ্যক্ষ মুখ খোলায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।