কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জাতীয় স্পিকার সম্মেলনে ভার্চুয়াল ভাষণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। এই পালটা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, স্পিকার পক্ষপাতদুষ্ট। আগে উনি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ হল না কেন তার জবাব দিন।
এদিনের সভায় ১২ মিনিট বক্তব্য রাখার সুযোগ পান বিমানবাবু। আর প্রায় পুরো সময়টাই রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মুন্ডুপাত করতে কাজে লাগান তিনি। বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিধানসভাকে এড়িয়ে রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিধায়কদের নোটিশ পাঠাচ্ছে। যা দুর্নীতিদমন আইন বিরোধী। আর রাজ্যপালও সেই অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে বিধানসভার গরিমা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। লোকসভার সাংসদকে নোটিশ পাঠানোর আগে যদিও অনুমতি নেওয়া হচ্ছে স্পিকারের।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। বিমানবাবু বলেন, ‘একাধিক বিষয়ে রাজ্যপাল বিধানসভাকে সরাসরি চিঠি দিচ্ছেন। এই প্রবণতা বিধানসভার গরিমার পরিপন্থী।’ এমনকী আদালতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, ‘বিধানসভার বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেক বিধায়ক। যার সমাধান বিধানসভাতেই আলোচনার মাধ্যমে করা সম্ভব। আদালতও সেই সব আবেদন গ্রহণ করছে। এটা দুঃখজনক।’
বিমানবাবুকে টুইটে জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, গত ২৪ অগাস্ট বিমানবাবুকে লেখা চিঠির জবাব মিলেছে ৬ সেপ্টেম্বর। সেই চিঠি আমার কাছে পৌঁছনোর আগেই সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে দিয়েছেন তিনি। এটা কোন ধরণের সৌজন্য?