রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তখন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। তখন বিক্ষোভের পারদ চরম সীমায় পৌঁছয়। ওয়েলে যুযুধান দুই শিবিরের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তার জেরে নাক ফাটল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক। এই ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘মেরে আমার নাক ফাটিয়ে দিয়েছে শুভেন্দু।’
পাল্টা জামা টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এই ঘটনায় রক্তাক্ত হল বিধানসভা। মনোজ টিগ্গার অভিযোগ, শাসকদলের বিধায়করা ধাক্কা দেন। ঘুষি মারেন। এমনকী জানা টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সোমবারই বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। সেখানেই উঠে আসে রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনা। তাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিধানসভা। এই হাতাহাতির জেরে ভেঙে যায় বিধানসভার লাইটও।
অধিবেশনের শুরুতেই আজ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আপনারা গত কয়েকদিন ধরে অধিবেশনের কাজ চালাতে সমস্যা তৈরি করেছেন। স্লোগান দিয়েছেন, চিৎকার করেছেন, ওয়াকআউট করেছেন। পুলিশ বাজেটেও আপনারা অনুপস্থিত।’ অধ্যক্ষের এই মন্তব্যের পরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের কয়েকজনকে সিভিল ড্রেসে বিধানসভার ভিতরে ঢুকানো হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের উপর চড়াও হয় তারা।’
এই ঘটনার পর বিধানসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মা এবং নরহরি মাহাত—পাঁচজন বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রক্তাক্ত বিধায়ক অসিত মজুমদারকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই সাসপেন্ডের প্রতিবাদে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে গোটা বিষয়টি জানান ফিরহাদ হাকিম।