পূঅবশেষে সিপিএম ও কংগ্রেসের চাপের সামনে মাথা নোয়ালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে সহি CAA বিরোধী প্রমাণের জন্য এবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে সম্মত হলেন তিনি। সোমবার উত্তরবঙ্গ উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, CAA যখন বিলের আকারে ছিল তখন তার বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল বিধানসভায়। তাই সেটি আইনে পরিণত হওয়ার পরও তার বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হবে। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, তাহলে গত ৯ জানুয়ারি কেন বাম- কংগ্রেসের প্রস্তাব খারিজ করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়?
এদিন বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এনআরসি এবং CAA-j বিরুদ্ধে এর আগে প্রস্তাব পাশ করেছি। এখন সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তাই সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হবে।‘ মুখ্যমন্ত্রী জানান, চলতি সপ্তাহেই বিধানসভায় আসবে ওই প্রস্তাব।
বলে রাখি, CAA আইন তৈরি হওয়ার পর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরোধিতায় প্রথম প্রস্তাব পাশ করে কেরল বিধানসভা। এর পরই বাকি বিরোধী দলগুলির ওপর চাপ বাড়তে থাকে। গত শুক্রবার CAA বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ করে কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবের বিধানসভা। বাম ও কংগ্রেস দু’পক্ষই আইনসভায় CAA-র বিরোধিতা করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নিজের অবস্থানের সত্যতা প্রমাণের চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। অবশেষে সেই চাপের সামনেই মাথা নত করলেন তৃণমূলনেত্রী।
যদিও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি আইনসভায় পাশ হওয়া আইনের বিরোধিতায় অন্য আইনসভায় প্রস্তাবগ্রহণ গণতন্ত্রের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলেও মত তাঁদের।