মহাসপ্তমীতে যুব মোর্চার জেলা কমিটিগুলি ভেঙে দেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর থেকেই ডামাডোল শুরু হয়ে যায় বিজেপি’র অন্দরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিজেপি’র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান।
শনিবার হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। আর থাকবেন না বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতির পদে, জানিয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা দেন তিনি। বিজেপি’র পদাধিকারিকদের নিয়ে এই গ্রুপটি সৌমিত্র ছেড়েছেন বলে মহাষ্টমীর সকালে বিতর্ক বেড়েছে।
দলীয় সূত্রে খবর, যুব মোর্চার রাজ্য পদাধিকারীদের নিয়ে যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে সেটির নাম ‘বিজেওআইএম ওয়েস্টবেঙ্গল অফিসিয়াল’। শনিবার সকাল ৯টা ৪ মিনিট নাগাদ ওই গ্রুপে সৌমিত্র লিখেছেন, ‘শুভ মহাষ্টমী। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের খুবই সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই বিজেপিকে সরকারে আনতেই হবে। তাই হয়তো আমার অনেক ভুল ছিল যাতে দলের ক্ষতি হচ্ছিল। তাই আমি ইস্তফা দেব আর সকলে ভালো থাকবেন। যুব মোর্চা জিন্দাবাদ, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ।’
যুব মোর্চার জেলা কমিটিগুলি শুক্রবার দুপুরেই ভেঙে দিয়েছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলা সভাপতিদেরও দিলীপ বরখাস্ত করে দিয়েছিলেন। তারপরেই সৌমিত্র খানের এই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে বেরোনোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এখন পদত্যাগ করিনি। পূজোর পর পদত্যাগ করব। গতকাল আমাকে না জানিয়ে যুব মোর্চা সব জেলা কমিটি ভেঙে দেয় দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় অপমানিত হয়েছি আমি।’
সূত্রের খবর, বিজেপি’র অন্দরে অনেকেই সৌমিত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। অনেকের মতে, জেলা কমিটিগুলি গঠনের ক্ষেত্রে সৌমিত্রের আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল। পুরনো কর্মীদের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। সব মিলিয়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোট যখন আর সাত মাস বাকি, তার আগে বিজেপি’র এই পরিস্থিতি যে তাদের পক্ষে খুব একটা ভালো বার্তা নয়, তা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।