ভোটের মুখে তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত প্রবীণদের জন্য বিশেষ ভাতা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যবাজেটে এই ভাতা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এজন্য ২টি পৃথক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তিনি। তাতে মাসে ১,০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন এই দুই শ্রেণিভুক্ত প্রবীণরা। প্রকল্পকে কটাক্ষ করেছে বাম ও কংগ্রেস।
সোমবার বিধানসভায় ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষের বাজেট ভাষণে অমিত মিত্র জানান, ৬০ বছরের বেশি বয়সী, এমন তপশিলি জাতিভুক্ত মানুষ। যাঁরা এখন কোনও সরকারি পেনশন পান না শুধুমাত্র তাঁরাই পাবেন এই ভাতা। তপশিলি জাতিদের জন্য এই প্রকল্পের নাম ‘বন্ধু’। এতে প্রতি মাসে তপশিলি জাতিভুক্ত বৃদ্ধরা ১,০০০ টাকা করে পাবেন। এজন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তপশিলি উপজাতিভুক্তদের জন্যও একই রকম প্রকল্প ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের নাম ‘জয় জোহার’।
রাজ্যের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বাজেট পেশের পর বিধানসভায় এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আবদুল মান্নানকে পাশে বসিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমানে যে বার্ধক্য ভাতা রয়েছে তার ওপর এই প্রকল্প চালু করার দরকার পড়ল কেন? বর্তমানে বার্ধক্য ভাতার পরিমান মাসে ৭৫০ টাকা। সেই অর্থ না বাড়িয়ে নতুন প্রকল্পে মাসে ১,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হল কী করে?’ সুজনবাবুর আশঙ্কা, ভোটের মুখে টাকা বিলি করতে করতে এই প্রকল্পদুটিকে হাতিয়ার করতে পারে তৃণমূল সরকার। মুখে না-বললেও ইঙ্গিতে তেমনই বুঝিয়েছেন তিনি।