দেশের বিরোধীদের বৈঠক ২৩ তারিখ। সেখানে একমঞ্চে আসবেন সব বিরোধী পক্ষ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সেখানে সলতে পাকানো হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিরোধী শীর্ষ নেতা নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। কিন্তু কোনও রাজ্যপাল এসে দেখা করেননি। তবে এবার প্রথম কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল কলকাতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিজেপি যখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর নির্ভর করে বাজিমাত করতে চাইছে তখন বাম শাসিত কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন। শুধু দেখা করাতেই বিষয়টি থেমে থাকেনি। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা তাঁরা বৈঠক করেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন সাক্ষাৎ এবং বৈঠক করলেন? যদিও বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের কেউই মুখ খোলেননি। এমনকী সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেও দাবি করা হয়নি। এটাই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ কথাও হল দু’জনের।
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, কেরলের রাজ্যপাল যখন কলকাতায় তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে। কারণ তিনি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর কাছে খবর আসে কেরলের রাজ্যপাল দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছেন কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রীও খবর পাঠিয়ে দেন তিনি আসছেন। বুধবার কলকাতায় এসে পৌঁছন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। মেদিনীপুর থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রেল দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই কেরলের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একইসঙ্গে চলে দীর্ঘ বৈঠক।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কিছুদিন পর রাজ্যসভার কয়েকটি আসন খালি হবে। তার জন্য অনেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সেখানে জায়গা পাওয়ার জন্য। সেই তালিকা কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান নিজেকে যুক্ত করলেন কিনা সেটা জানা যায়নি। তাঁর মেয়াদ শেষ হলে বা মাঝপথেই এমন ঘটনা ঘটতেই পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাছাড়া বিরোধী জোটে পিনারাই বিজয়নকে আরও সক্রিয় করার কথা হয়েছে কিনা সেটা দু’পক্ষের কেউ জানাননি। সম্প্রতি নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও দেখা গিয়েছিল। নবান্নে এসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু কেরলের রাজ্যপাল হঠাৎ কেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন? দীর্ঘ বৈঠকে কী আলোচনা হল? তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।