বুধবার বিকেলে আচমকা রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে এদিন রাজভবনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি সম্পূর্ণভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহেই মমতার রাজভবনে যাওয়া রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি রাজভবনে যান। রাজভবনের সামনে রয়েছে পুলিশি তৎপরতা। উল্লেখ্য, এদিনই কোলাঘাটে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছেন না।’ এছাড়া এদিন ‘বহিরাগত’ ইস্যু–সহ আমফান, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এর আগে একাধিকবার টুইট–যুদ্ধ, পত্রাঘাতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। আর এ সবের মধ্যে হঠাৎ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও এর আগে ২০১৯ সালে কালীঘাটে নিজের বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রত্যাহার দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬ পাতার সেই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, সাংবিধানিক সীমারেখা লাগাতার লঙ্ঘন করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মানছেন না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা। রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।