করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে ক্যাবিনেট কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটিতে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী ও আমলা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এবার থেকে করোনার ব্যাপারটা দেখবে এই ক্যাবিনেট কমিটি। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ‘আমার আরও কাজ আছে’।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় গঠিত নতুন এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এছাড়া থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপধ্যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। থাকবেন মুখ্যসচিব রাজীব কুমার, স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার ও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হয়েছে একাধিক কমিটি। প্রথমে সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে কমিটি গড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে দাঁড়িয়ে মৃতের সংখ্যা ৭ বলার পর থেকে সেই কমিটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার পর গঠিত হয় ডেথ অডিট কমিটি। যা নিয়ে রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে প্রবাসী চিকিৎসকরাও সমালোচনা করছেন। এর পর নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটি। এবার করোনা মোকাবিলায় তৈরি হল ক্যাবিনেট কমিটি।
এদিন মমতা এই কমিটি গঠনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার আরও অনেক কাজ আছে। আইন-শৃঙ্খলা দেখতে হয়।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে করোনা মোকাবিলায় গঠিত কমিটিতে খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই কেন?
এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এসব না করে সরকারের উচিত করোনার আসল তথ্য প্রকাশ করা। দেড় মাস পর ওনার কমিটি তৈরির কথা মনে পড়ল কেন? তার মানে আমরা যা অভিযোগ করছিলাম তা সত্যি। করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ।’
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বলেন, ‘নিজের ঘাড় থেকে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায় ঝাড়তে এই কমিটি গড়েছেন মমতা। তাছাড়া কমিটিতে উত্তরবঙ্গের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই।’