বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > হিমসাগর–লক্ষ্মণভোগ–ফজলি যাচ্ছে নয়াদিল্লি, সৌজন্যের একমঞ্চে মমতা–মোদী

হিমসাগর–লক্ষ্মণভোগ–ফজলি যাচ্ছে নয়াদিল্লি, সৌজন্যের একমঞ্চে মমতা–মোদী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-নরেন্দ্র মোদী

তবে এতকিছুর মধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমদৌত্য। বিশেষ করে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে ইডি তলব করেছে। আবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে ইডি। সেখানে এমন রাজনৈতিক সৌজন্য সত্যিই বিরল। আসলে বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন নজির আছে।

‘‌মেরেছ কি কলসির কানা তা বলে কি প্রেম দেব না’‌—সৌজন্যের রাজনৈতিক মঞ্চে এমনই বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রোজ কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়ে থাকে। সেখানে বাংলার আম প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সদ্য ঘটে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। সেটা নিয়েও দু’‌পক্ষের মতভেদ রয়েছে। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার টাকা এখনও বকেয়া। তা নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে এখন তীব্র গরমে বাংলার আম মুখ্যমন্ত্রী পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। যা সৌজন্যের একমঞ্চে নিয়ে এল যুযুধান দু’‌পক্ষকে।

দু’‌পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ থাকলেও সৌজন্যের রাজনীতি বজায় রাখছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলার সুস্বাদু আম পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে হরেকরকম আম তিনি পাঠাচ্ছেন। বাংলার নামকরা বেশ কয়েকটি জাতের আম পাঠাচ্ছেন। কেমন আম থাকছে সেখানে?‌ সুদৃশ্য বাক্সে হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি–সহ নানা প্রজাতির মোট চার কিলো আম পাঠানো হবে নয়াদিল্লির ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। একইসঙ্গে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ তেকে পাঠানো হচ্ছে সৌজন্যের আম।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে আম মেলা। আর সেটা চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত। নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থল কনর্ট প্লেসের কাছে জনপথের হ্যান্ডলুম হাটে বসেছে এই আম মেলা। এই আবহেই এবার সামনে এল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমদৌত্য। বাংলার আম চাষিদের ব্যবসার সুযোগ করে দিতেই এমন আম মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আম উৎপাদনে গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। গড়ে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৬ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় বাংলায়। দিল্লির মেলার জন্য আনা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

এখন রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে সেখানে সম্পর্ক তেতো হয়েছে প্রতিনিয়ত। সেখানে প্রথমসারির আম প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে নয়াদিল্লিতে যাচ্ছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, মল্লিকা, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি, গোলাপ খাস, রাজভোজের পাশাপাশি নবাব সিরাজদৌল্লার পছন্দের ‘কোহিতুর’, ‘বেগম খাসে’র মতো আমও। তবে এতকিছুর মধ্যে নজর কেড়ে নিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমদৌত্য। বিশেষ করে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে ইডি তলব করেছে। আবার রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে ইডি। সেখানে এমন রাজনৈতিক সৌজন্য সত্যিই বিরল। আসলে বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন নজির আছে।

বন্ধ করুন