পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ১৬২। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে রাজ্যে করোনায় মৃত্যের সংখ্যা ১০-ই রয়েছে। শুক্রবার নবান্নে জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দু’টো জায়গা থেকে বেশি কেস আসছে। হাওড়া ও উত্তর কলকাতা। যে করেই হোক এখানে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। দরকার হলে পুলিশ বাড়িতে খাবার পাঠিয়ে দেবে।’ এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ’১৪ দিনের মধ্যে হাওড়াকে গ্রিন জোন ও উত্তর ২৪ পরগনাকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে হবে।’
হাওড়ায় বাজারে ভিড় করা যাবে না বলে ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাজারে ভিড় হলে প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নামানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, ‘ডেঙ্গুও সবার আগে উত্তর ২৪ পরগনায় হয়। করোনাতেও রেড জোন। ১৪ দিনের মধ্যে গ্রিন জোনে আনতে হবে। স্ট্রংলি অ্যাকশন নিন।’
এদিন অন্যান্য জেলাশাসকদেরও সতর্ক করেন মমতা। হুগলির জেলাশাসককে কোনও কিছু না দেখে করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতেই হবে। মুর্শিদাবাদ ও মালদার জেলা শাসকদেরও সতর্ক করেন তিনি। মালদা মেডিক্যাল কলেজে যেন ভিনরাজ্যের বা ভিনদেশি কোনও ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে না পারেন সেদিকে নজর দিতে বলেছেন মমতা।