পশ্চিমবঙ্গে রোজ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিতে নতুন নতুন হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরু করতে হচ্ছে সরকারকে। একাধিক হাসপাতালে ঘুরে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক তরতাজা যুবকের। তার পরেও মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজীব সিনহা বলেন, ভয় পাবেন না। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।
মুখ্যসচিব বলেন, আগামীতে কলকাতার সঙ্গে গ্রামাঞ্চলেও করোনা সংক্রমণ বাড়বে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার থেকে দ্রুত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াচ্ছি আমরা।
মুখ্যসচিবের ব্যাখ্যা, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যে ১৪,৭০৯ জন করোনা রোগী রয়েছেন তার মধ্যে ১০,৫০০ জনের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে। এরা উপসর্গহীন। যা মোট আক্রান্তের ৭০ শতাংশ। বাকিদের মধ্যে ২,২০০ জনের মৃদু সংক্রমণ রয়েছে। সামান্য গুরুতর সমস্যা রয়েছে ১,২৫০ জনের। আর ৬৬০ জনের অবস্থা গুরুতর। অর্থাৎ সামান্য গুরুতর ও গুরুতর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনা রোগীর সংখ্যা হবে ১,৯০০। ১০ কোটি জনসংখ্যার রাজ্যে এই সংখ্যা নগন্য।
তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০০ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এখনো হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য শয্যার অভাব শুরু হয়নি। কলকাতাতেই ১,৫০০ শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
তাছাড়া মুখ্যসচিবের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুহারও কম। মাত্র ২.৭৬ শতাংশ। যা জাতীয় গড়ের প্রায় সমান।