করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় অধিকাংশ চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ ছিল। তাই সেই সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে টেলিমেডিসিন চালু করেছিল রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। তাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। টেলিমেডিসিন পরিষেবার ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রের সমীক্ষা অনুযায়ী, টেলিমেডিসিন পরিষেবায় প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তারপরেই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। টেলিমেডিসিন পরিষেবার ক্ষেত্রে রাজ্যের সফলতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘টেলিমেডিসিন পরিষেবার ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই সম্মান অনেক বড় প্রাপ্তি। আগামী দিনে আরও বহু মানুষ এই পরিষেবার ফলে উপকৃত হবেন।’
সাধারণত প্রথমে দিকে যখন টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল তখন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, রক্তচাপ প্রভৃতি রোগের চিকিৎসা চালু করা হয়েছিল। সম্প্রতি স্ট্রোকের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে এই টেলিমেডিসিনে। স্বাস্থ্য ইঙ্গিত নামে সেই প্রকল্পে স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসা যুক্ত করা হয়েছে । উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়। এখনও পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪২ জন ওই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন। এই পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৭০০-র বেশি চিকিৎসক। ফলে এই পরিষেবা ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করাটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।