পুজোর আগে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় হাত আরও শক্ত হল পশ্চিমবঙ্গ দমকল বাহিনীর। বৃহস্পতিবার আরও চারটি অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক গাড়ি বা ইঞ্জিন এল রাজ্যের দমকলের হাতে। সেগুলি প্রত্যকটি রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। একইসঙ্গে এদিন রাসায়নিক কারখানায় বড়সড় অগ্নিকাণ্ড হলে তা মোকাবিলার জন্য দমকলের যে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও গাড়ি দরকার তার সূচনা করা হয়।
দমকলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে বা লোকজনকে উদ্ধার করতে আমাদের দমকলকর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যে সব জায়গায় পৌঁছতে পারে না, সেখানেও পৌঁছে যাবে নতুন রোবোটিক দমকল ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটাই সুবিধা হবে। এই নতুন অত্যাধুনিক ইঞ্জিনগুলি রিমোটের দ্বারা ১০০ মিটার দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর প্রত্যেকটিতে রয়েছে তাপ সংবেদনশীল সরঞ্জাম (থার্মাল সেন্সিং ইক্যুইপমেন্ট) অপটিকাল ক্যামেরা। এই ইঞ্জিন মিনিট প্রতি ১৮০০ লিটার গতিতে জল ছুড়তে সক্ষম।
একইসঙ্গে রাসায়নিক কারখানা বা গুদামে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে তার সঙ্গে লড়াই করতে আরও বেশ কিছু অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও গাড়ি কিনেছে পশ্চিমবঙ্গ দমকল বিভাগ। এ ব্যাপারে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, রাসায়নিক কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম ফোম ছড়ানোর ৫টি ইঞ্জিন কেনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১০টি নতুন ছোট দমকল ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করেছি আমরা। যার প্রত্যেকটির ৩ হাজার লিটার জল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। আকারে ছোট এই দমকল ইঞ্জিনগুলি খুব সহজেই পাহাড়ি এলাকার রাস্তা এবং শহরের অলিগলিতে ঢুকে যেতে পারবে যেখানে দমকলের বড় গাড়িগুলি যেতে অপারগ।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের দমকল বাহিনীকে আরও আধুনিক করতে এই সব ইঞ্জিন, গাড়ি ও অন্য সরঞ্জাম কিনতে ১৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এগুলি ছাড়ায় আরও ১০০টি নতুন বাইকের সূচনা করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে আগুন নেভানোর নানারকম সরঞ্জাম রয়েছে। ইতিমধ্যে এমন বেশ কয়েকটি দমকলের বাইক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভাল ভাবে কাজে এসেছে।