ভিনরাজ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া অসহায় শ্রমিক ও পড়ুয়াদের ফেরাতে উদ্যোগী হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে বিশেষ ট্রেনে হাওড়ায় ফিরছেন ১,২০০ পরিযায়ী শ্রমিক। ওই দিন বিকেলে অন্য একটি ট্রেনে কেরল থেকে ফিরছেন বাংলার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক।
আজমের থেকে সোমবার রওনা হওয়া প্রথম ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছানোর আগে সাময়িক থামবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর ও হুগলির ডানকুনি স্টেশনে। কেরালা থেকেও এ দিন রওনা হচ্ছে দ্বিতীয় ট্রেনটি। যাত্রা শুরুর আগে ট্রেনের যাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে কেরালা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলা।
এ দিকে রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, কর্নাটকে বিচ্ছিন্ন বাংলার শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে সে রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।
বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দাবি, রাজ্যের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে তাঁর সঙ্গে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের ফেরাতে কোনও বিশেষ ট্রেন চেয়ে আবেদন করেনি রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান। শুধুমাত্র দুটি ট্রেনকে বাংলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনীহার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিম। পাশাপাশি, অসহায় শ্রমিকদের প্রতচি কেন্দ্রীয় সরকারের অমানবিক ব্যবহারেরও তিনি সমালোচনা করেছেন।
রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহা জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না রাজ্য প্রশাসন। একধাক্কায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক পিরে এসে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ফিরে আসা শ্রমিকদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের জন্য যথেষ্ট সময় দরকার বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি ঘরমুখী শ্রমিকদের সুবিধায় রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে বাস চলাচলে ছাড় দিয়েছে বাংলার সরকার।