প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হতেই তা বাতিলের দাবি তুলল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে বিজেপি নেতা তাপস ঘোষের করা এই মামলা অবিলম্বে খারিজের দাবি তুলেছে রাজ্য সরকার। প্রথম দিনের শুনানির পর দুপক্ষকেই হলফনামা দিতে বলেছেন বিচারপতি।
আদালতে গ্রীষ্মাবকাশের পর বদলেছে হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিচার্য বিষয়। প্রাথমিক ও মাদ্রাসাশিক্ষা সংক্রান্ত মামলার বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। ছুটির পর সোমবার খুলেছে আদালত। তার পরই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর এজলাসে দায়ের হচ্ছে একের পর এক মামলা। তেমনই একটি মামলা করেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। মঙ্গলবার বিকেলে হয় তার শুনানি।
আবেদনকারীর দাবি, ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যাবতীয় নিয়ম কানুন শিকেয় তুলে ধাপে ধাপে নিয়োগ করেছে সরকার। পরীক্ষায় পাশ করেনি এমন লোকও চাকরি পেয়েছে। এমনকী গত এপ্রিলেও নিয়োগ হয়েছে।
পালটা রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, ৮ বছরের পুরনো প্রক্রিয়া কী ভাবে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আবেদনকারীর পক্ষে জানানো হয়, শেষ নিয়োগ যেখানে হয়েছে এপ্রিলে তাকে ৮ বছরের পুরনো দুর্নীতি বলা যেতে পারে কী করে? এর পরই দুপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক রায়ে তৃণমূলের অন্দরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। যার জেরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।