পর পর তিন দিনে করোনা সংক্রমণে একের পর এক রেকর্ড গড়ার মাঝেই মর্নিং ওয়াক-সহ একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিতে তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত ৩০ জুন পশ্চিমবঙ্গে ৬৫২টি নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। তার আগের দিন, ২৯ জুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৪ জন। ২৮ জুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭২ জন। তার আগে জুনের ২৬ ও ২৫ তারিখে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫৪২ ও ৪৭৫ জন।
বর্তমানে রাজ্যে Covid-19 রোগীর সংখ্যা ১৮,৫৫৯, যার মধ্যে ৫,৭৬১টি অ্যাক্টিভ কেস যা চিকিৎসাধীন রয়েছে। করোনা সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গে মোট মৃতের সংখ্যা আপাতত ৬৬৮, যার মধ্যে ৩০ জুন মারা যান ১৫ জন।
মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুলিশকে আবার অনুরোধ জানাচ্ছি, লকডাউন নিষেধাজ্ঞা কড়া হাতে প্রয়োগ করুন। একদিকে আমাদের দেখতে হবে যাতে মানুষের পেশাগত ক্ষতি না হয়, অন্য দিকে আমাদের সংক্রমণ রোধ করতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বললেও বুধবার থেকেই নিষেধাজ্ঞার বাঁধন আলগা করতে আরও কয়েক পা এগিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এ দিন বিয়ে ও অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানে উপস্থিতিতে ২৫ জন থেকে ৫০ জনের সমাবেশে অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি, প্রতিদিন সকাল ৫.৩০ থেকে ৮.৩০ পর্যন্ত মর্নিং ওয়াকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ১৮,৫৫৯ জন করোনা রোগীর মধ্যে ১২,৭০২ জনই কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৬,০০০ মানুষ।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস-এর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১৪% কলকাতাবাসীর শরীরে Covid-19 অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, শহরাঞ্চলে সংক্রমণের হার বেশি, যা আইসিএমআর-এর দাবিকে সমর্থন করে না।
মুখ্যমন্ত্রী তার আগেই জানিয়েছিলেন, জেলা থেকে আসা রোগীর কারণেই কলকাতায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।