রাজ্যে বন্যাপরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই দাবি উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। এক বিবৃতি জারি করে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জল ছাড়ার আগে নিয়ম মেনে সমস্ত সতর্কতা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। বাঁধের সুরক্ষায় বৃষ্টি হলে জল ছাড়তেই হবে।
আরও পড়ুন - কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন কলতান, আদালতের দৌলতে জুটল রক্ষাকবচ
পড়তে থাকুন - ‘স্বাস্থ্যভবনে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে’, নথি তুলে একগুচ্ছ অভিযোগ শুভেন্দুর
বুধবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে হুগলির পুড়শুড়ায় গিয়ে ‘ম্যান মেড বন্যা’র তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মমতা। অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি। বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। বলেন, ডিভিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক কাট আপ করে দেব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য উড়িয়ে জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। ডিভিসিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে তথ্য পৌঁছে দিয়ে তবেই জল ছাড়া হয়েছে বাঁধ থেকে। তাছাড়া ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ ও লাগোয়া ছোটনাগপুরের মালভূমিতে ভারী বৃষ্টি হবে বলে আগে থেকে জানিয়েছিল মৌসম ভবন। এছাড়া সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের ধরণ সম্পর্কেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে বাঁধ রক্ষা করতে গেলে জল ছাড়তে হবেই।
আরও পড়ুন - ‘প্রতিবাদের পূর্ণ স্বাধীনতা আমারও থাকবে’, নিজেকে মুক্ত বলে পোস্ট জহরের
তবে তেনুঘাট জলাধার থেকে জল ছাড়ার দায় নিতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তেনুঘাট জলাধার থেকে যে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে তার সঙ্গে ডিভিসির কোনও যোগ নেই। ওই জলাধার ঝাড়খণ্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। জলাধারটিকে বারবার DVCক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারকে অনুরোধ করা হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।