রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে হাসি ফুটল টা বাগানের মুখে। ২৫ নয়, এবার ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে পারবে চা-বাগানগুলি। সোমবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে নবান্ন। যার ফলে সেকেন্ড ফ্ল্যাসের চা-পাতা তোলা ও প্রক্রিয়াকরণে জোর কদমে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন শ্রমিকরা।
চা-বাগানের প্রতিটি চা-গাছ থেকে বছরে সাধারণত তিন বার চা পাতা তোলা হয়। এদের বলে ফার্স্ট ফ্ল্যাস, সেকেন্ড ফ্ল্যাস ও থার্ড ফ্ল্যাস। এর মধ্যে ফার্স্ট ফ্ল্যাসের চা-পাতা সব থেকে মূল্যবান। দামি পাতা-চা তৈরি হয় এই ফ্ল্যাস থেকে। এবছর লকডাউনের জেরে চা-বাগানের কাজ বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তার পর ২৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেয় কেন্দ্র। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় চা-পাতা তোলা না হলে তার আর ভাল দর পাওয়া যায় না। ফলে ফার্স্ট ফ্ল্যাসে এবার তেমন লাভ করতে পারেনি চা বাগানগুলি।
সেকেন্ড ফ্ল্যাসের মুখে রাজ্য সরকার ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়ায় হাসি ফুটেছে উত্তরবঙ্গের ৩০০-র বেশি চা বাগানের শ্রমিকের মুখে। রাজ্যের সিদ্ধান্তে খুশি ট্রেড ইউনিয়নগুলিও।
এদিন শিলিগুড়িতে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘চা বাগানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাতা তোলার কাজ হবে। এই শিল্পে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করা সম্ভব।’
চা-বাগান না খুললে ডুয়ার্সে অনাহারে মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন অনেকে। এমনিতেই ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে অনাহারের খবর মেলে। শ্রমিক বস্তিগুলি যক্ষ্মার আতুড়ঘর। তার পর কাজ বন্ধ হয়ে গেলে মড়ক লাগতে পারত সেখানে।