পুরোহিত ভাতা প্রাপকদের তালিকায় এবার আদিবাসী পুরোহিতদের নাম সংযোজনের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নবান্ন থেকে এই মর্মে জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছেছে। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে পুরোহিত ভাতার তালিকায় যোগ করতে হবে আদিবাসীদের নাম।
গত মাসেই রাজ্যে পুরোহিত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৮,০০০ পুরোহিতকে মাসে ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। সঙ্গে যাঁদের বাড়ি নেই তাঁদের আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার।
এর পরই মাঠে নেমে পড়ে প্রশাসন। জেলায় জেলায় তৈরি হয় পুরোহিতদের তালিকা। বিভিন্ন মন্দিরের পূজারিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেখানে। তবে বিভিন্ন জায়গায় থেকে সেখানেও স্বজনপোষণের অভিযোগ মিলেছে। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অব্রাহ্মণদের নাম ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ পুরোহিতদেরই।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকজন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, আদিবাসী পুরোহিতদেরও ভাতার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিধায়কদের সেই আবেদন মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরোহিত ভাতা প্রাপকদের তালিকায় আদিবাসী পুরোহিতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সঙ্গে জেলাশাসকদের দ্রুত তালিকা তৈরির কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রাধাণ্য দিতে বলা হয়েছে এলাকার বড় মন্দিরগুলির পূজারিদের।
যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে নিজেদের পালে হাওয়া পেতে মরিয়া তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে সাফ হয়ে গিয়েছে তারা। জনসমর্থন ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বিলি-বণ্টনের ওপরেই ভরসা রাখেন। আদিবাসী পুরোহিতরা যাতে ক্ষুব্ধ না হন সেজন্য তাই তালিকায় ঢোকানো হল তাঁদেরও।