সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে দোকান খোলার ছাড়পত্রের ঘোষণায় আশায় বুক বেঁধেছেন রাজ্যের সুরারসিকরা।
লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে কপাল পুড়েছে সুরাপ্রেমীদের। দোকান, শপিং মল তো বটেই, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে তালা ঝুলেছে বাংলার তাবৎ পানশালা ও নাইটক্লাবগলিতেওু। ফলে তৃষিত চিত্তে দিনাতিপাত ছাড়া কোনও উপায় খুঁজে পাননি রসিকজন।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে খুলবে দোকান, চলবে বাস, এক ঝলকে দেখে নিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
মদের দোকানে অকস্মাৎ ঝাঁপ পড়ার ফলে যথারীতি পানীয় নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত সস্তার ব্র্যান্ডের ৩৭৫ মিলির বোতলের দাম মেরেকেটে ১৩০ টাকা, লকডাউনকালে চাহিদার ঢেউয়ে চেপে তা-ই কালোবাজারে বিকোচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকায়। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধিতে ইদানীং সেই উপায় অবলম্বন করেও নেশার খোরাক জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সুরারসিকরা।
এর আগেও লকডাউনের মাঝে রাজ্যে শর্তসাপেক্ষে মদ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, হোম ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় মদের বোতল ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে। কিন্তু তাতে বাধ সাধে পুলিশ। সুতরাং সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে একাধিক ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি বলেন, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে খুলবে দোকান ও বাস পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও সবই সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার শর্তে চালু করা হবে।
শোনা যাচ্ছে, চিহ্নিত এলাকার বেশ কিছু দোকানের সামনে মদের পরিবর্তিত ও সংশোধিত রেট-সহ সাইনবোর্ড বসেছে সম্প্রতি। সেই সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বল্প সময়েই তুফান তুলেছে। আর এই সমস্ত পরিবর্তন দেখে স্বভাবতই আশার ঝলক দেখছেন মদিরাপ্রেমীরা। শেষ পর্যন্ত তাঁদের কপাল আদৌ খুলবে কি না, তা জানা যাবে সোমবারই।