বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কেন্দ্রের পাল্টা কৃষি আইন এখনই নয়, বিকল্প পথ খুঁজছে নবান্ন

কেন্দ্রের পাল্টা কৃষি আইন এখনই নয়, বিকল্প পথ খুঁজছে নবান্ন

কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের পালটা হিসেবে পাল্টা কোনও আইন এখনও পর্যন্ত আনার কথা ভাবছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজ্য পাল্টা কোনও আইন এখনও পর্যন্ত আনার কথা ভাবছে না।

কেন্দ্রের কৃষি সংস্কার আইনের জন্যই দেশ তথা রাজ্যের বাজারগুলিতে সবজি–আনাজের দাম বেড়ে গিয়েছে। এই অভিযোগ অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলার সরকারেরও। পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের প্রতিবাদ করে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। এই আইন পাশ হতেই গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদের বিলের প্রতিলিপি ছেঁড়া নিয়ে বিতর্কও তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু রাজ্য পাল্টা কোনও আইন এখনও পর্যন্ত আনার কথা ভাবছে না।

কৃষি কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের কৃষকরা স্বাধীনতার পর থেকে কখনই তাঁদের ফসল নির্দিষ্ট কোনও মান্ডিতে বিক্রি করতে বাধ্য ছিলেন না। এখানে বাজারের সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি তৈরি হয়েছিল। নির্দিষ্ট কমিশনে এজেন্টের কাছেই চাষিদের ফসল বেচতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা ছিল না। নতুন আইনে সেই ‘শৃঙ্খল’ ভাঙা হয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি নতুন আইনে দেওয়া নেই বলে বলা রয়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্দিষ্ট হলে চাষিদের ৩০% সেই দাম পেয়ে থাকেন। বাকিরা বাজার চলতি দামেই বিক্রি করেন। কৃষি কর্তাদের যুক্তি, রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৪২ লক্ষ চাষি নথিভূক্ত হয়েছেন। কিন্তু সরকারি দামে ধান বিক্রি করেন মাত্র ১২ লক্ষ চাষি। বছরে ১৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হলেও সরকার ধান কেনে মাত্র ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। ফলে যে সব রাজ্যে উৎপাদিত ফসলের প্রায় পুরোটাই সরকার কিনে নেয়, সেখানে সহায়ক মূল্যের যা গুরুত্ব, এই রাজ্যে তা নেই।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারই সহায়ক মূল্য নির্দিষ্ট করে থাকে। তবে যদি প্রয়োজন হয় তা হলে রাজ্য নিজেরাও সহায়ক মূল্য ঠিক করে ফসল কেনে। যেমন, এই রাজ্যে বেশ কয়েকবার আলু কিনেছে সরকার। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের এই দুটি প্রধান উপাদানের প্রাসঙ্গিকতা এই রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রে সেভাবে নেই বলেই মনে করছেন কৃষি ও কৃষি বিপণন কর্তারা। কেন্দ্রীয় আইনে এর বাইরে চুক্তি চাষ, কৃষি ক্ষেত্রে অবাধ মজুতদারি, বেসরকারি বিনিয়োগ, প্রাইভেট মার্কেট ইয়ার্ড, ই–ব্যবস্থায় কৃষি পণ্য বিক্রি ইত্যাদি রয়েছে। ২০১৪ সালে পর পর দুটি সংশোধনী এনে কৃষি বিপণন দফতর এগুলির সবই রাজ্যে ছাড়পত্র আগেই দিয়ে রেখেছে। তবে শেষ পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে আইন একটা করা যেতে পারে বলেও জানাচ্ছেন কর্তারা। সেই আইন অবশ্য কংগ্রেসশাসিত বা অবিজেপি সরকারের আইনের সঙ্গে কিছুটা আলাদা হবে।

বাংলার মুখ খবর

Latest News

'রসে ভরা আঙুর' খেয়ে ভাইরাল যুবক, ভিডিয়ো দেখলে আপনিও এমন আঙুর কিনতে ছুটবেন কাউকে না বলে মাঝরাতে পাকিস্তানে ঘোরাঘুরি! সৌরভকে ফোনে বকা দেন প্রেসিডেন্ট মুশারফ দেবের পা ছুঁয়ে প্রণাম, প্রচারের মাঝে ভক্তকে জড়িয়ে ধরলেন TMC-র তারকা প্রার্থী পরপর দুই ম্যাচ হারতেই রোহিতের সঙ্গে লম্বা আলোচনায় আকাশ আম্বানি, জল্পনা নেটপাড়ায় কং প্রার্থীর তফশিলি শংসাপত্র খারিজ মনোনয়ন জমার শেষদিনে, ওয়াকওভার পেতে পারে NDA শাকিবের সঙ্গে চেঙ্গিজের মিল! ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসতেই 'তুফান' তুলল মিমির ছবি পেটের মেদ ঝরান এভাবে! খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না CAA-র জন্য 'যোগ্যতা সার্টিফিকেট' দিতে পারবেন স্থানীয় পুরোহিত, বড় দাবি রিপোর্টে ‌দিলীপের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর, মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণের জের তৃণমূলের মৃতপ্রায় দশা, বললেন লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.