বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্য কমিশনের আদলে এবার শিক্ষা কমিশন গঠন করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার। এমনই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে কোনও বিবাদ দেখা দিলে তার বিহিত করবে এই কমিশন। কমিশনে শীর্ষে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষা কমিশন গঠনের বিষয়টি একেবারেই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলার অবস্থায় আমি নেই।
কিন্তু কেন এই কমিশন গঠনের ভাবনা?
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ভুরিভুরি অভিযোগ। সব থেকে বেশি অভিযোগ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রায় সব বেসরকারি স্কুলই পরিকাঠামোবাবদ যে টাকা দেয় তা আদায় করেছে অভিভাবকদের থেকে। এই নিয়ে কোর্ট কাছারিও হয়েছে। কিন্তু তাতে অভিযোগ নিরসন হয়নি। উলটে রোজই কলকাতাসহ রাজ্যে বিভিন্ন শহরে কোনও না কোনও বেসরকারি স্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। এই নিয়ে শাঁখের করাতে পড়েছে সরকার। অভিভাবকদের কথা না শুনলে জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়, উলটো দিকে বেসরকারি স্কুলের এক্তিয়ারে সরকারের হস্তক্ষেপের পরিসর কম। সব ঝামেলা মেটাতে তাই স্বাস্থ্য কমিশনের আদলে শিক্ষা কমিশন গঠনের ভাবনা।
এই কমিশন গঠন করতে গেলে বিধানসভায় আইন পাশ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আইন কার্যকর হলে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে এই কমিশনের শীর্ষে বসাবে সরকার। কোনও স্কুলের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ থাকলে তা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে জানাতে হবে কমিশনকে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি। সেই শুনানির রায় মেনে নিতে হবে সব পক্ষকে। স্বাস্থ্য কমিশন আইন অনুসারে তাদের জারি করা কোনও রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। শিক্ষা কমিশনের ক্ষেত্রেও তেমন হবে কি না জানা যায়নি।