করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র থেকে কোনও খাদ্যশস্য পশ্চিমবঙ্গ পায়নি বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে অভিযোগ করেছিলেন, তা উড়িয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার বিধাননগরে নিজের বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার কিছু বলার আগেই ৫০,০০০ টন চাল চলে এসেছে। কিন্তু সেই চাল রাজ্য সরকার নিতে পারছে না।‘
দিলীপবাবুর দাবি, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ৬ কোটি লোকের জন্য এখানে ২ টাকা কিলো চাল আর গম পাঠায়। আমরা কিনে খাই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আরও ২ কোটি ৪৪ লক্ষ লোককে তিনি খাওয়ান। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যাদেরকে কেন্দ্রীয় সরকার খাওয়ায় তাদের ডবল দেওয়া হবে, বিনামূল্যে, তিন মাস ধরে। মুখ্যমন্ত্রী সমস্যা পড়ে গেছেন। ৬ কোটি লোক তো পেয়ে যাবে, বাকি ২ কোটি ৪৪ লক্ষ লোককে উনি কী ভাবে খাওয়াবেন? তাতে আরও ২,০০০ কোটি টাকা ওনার খরচ হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।‘
খাদ্যমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে ৬ লক্ষ টন চাল পাঠাবে, সেই অনুপাতে ডালও পাঠাবে। রাজ্য সরকার কিছু বলার আগেই ৫০,০০০ টন চাল চলে এসেছে। সেই চাল রাজ্য সরকার নিতে পারছেন না। সেটা না আসার জন্য রেশন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সব জায়গায় ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে।‘
তাঁর কথায়, ‘প্রায় ২৫ দিন ধরে মানুষ গৃহবন্দি। আয়-উপায় নেই। পশ্চিমবঙ্গে দিন আনি, দিন খাই মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই ৮০ শতাংশ মানুষকে ২ টাকা কেজি চাল খেতে হয়। আমরা ভেবেছিলাম রেশন চালু হলে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু রেশন পাওয়া যাচ্ছে না। অর্ধেক লোক পাচ্ছে। পরিমানেও অর্ধেক পাচ্ছে। আর রেশন না থাকায় সেই মানুষগুলো খাওয়া-থাকার চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে। সমাজকে করতে হচ্ছে।‘
বলে রাখি, শনিবার সকালে একটি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রের থেকে ছিটেফোঁটা চালও রাজ্যে ঢোকেনি। বাংলার মানুষকে প্রতারণা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিবকে জিজ্ঞাসা করুক।’