বিগত দিনে রাজ্য সরকার ক্রমাগত অভিযোগ করে এসেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন খাতে প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে সমস্যা ফেলেছে বাংলাকে। তবে এর জবাবে বাজেট বক্তৃতায় পালটা রাজ্যকে দুষে গুরুতর অভিযোগ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মনরেগা ও আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই আবহে এবার নির্মলার অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল নবান্ন।
প্রসঙ্গত, সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও রাজ্যকেই দুষেছিলেন নির্মলা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। নির্মলা সীতারামনের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয় নবান্নের বিবৃতিতে। এদিকে নির্মলা অভিযোগ করেছিলেন, অডিটর জেনারেলের সার্টিফিকেট ছাড়াই জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা চাইছে বাংলা। তা নিয়ে নবান্নর পালটা দাবি, জিএসটি ক্ষতিপূরণে টাকা পেতে এজি-র সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্যের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রস এবং নেট রেভিনিউ আলাদা।
এদিকে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলের বকেয়া মেটানো নিয়েও রাজ্যকে বিঁধেছিলেন নির্মলা। নির্মলার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য ১ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা পাওয়ার কথা কেন্দ্রের। সেই অভিযোগও অবশ্য নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলল নবান্ন। নবান্নের পাল্টা দাবি, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে আসে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বল। এর জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়া হয় না। তাই তার টাকা দেওয়ার দায়ও নেই রাজ্যের। এদিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার হিসেব মিয়ে নির্মলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে ২০২১ সালের ১৮ জুন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে প্রথম হিসেব দেওয়া হয়। সেই টাকা না আসায় আবার গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রকে পুনরায় চিঠি দিয়ে হিসেব পাঠানো হয়েছে। এদিকে হিসেব অনুযায়ী, মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫,৪৭৩ কোটি টাকা বকেয়া আছে বাংলার।