এবার বাংলার কুটিরশিল্প নিয়ে নয়া পথ নিয়ে এলো রাজ্য সরকার। কুটিরশিল্পগুলিকে নিয়ে কলকাতাতেই শিল্প হাব গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আর সেই হাব গড়ে তুলতে ট্রাম ডিপোগুলিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত কালীঘাট, রাজাবাজার এবং বেলগাছিয়ায় যথাক্রমে রসগোল্লা, বস্ত্র ও সোনার হাব তৈরি করা হবে। বাকি ডিপোগুলিতে নিয়ে পরে চিন্তাভাবনা করা হবে।
ইতিমধ্যেই জিআই তকমা পেয়েছে বাংলার রসগোল্লা। রাজ্যের মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকদের অন্যতম সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, রসগোল্লার বিপণনকে আরও ঢেলে সাজতে চায় রাজ্য সরকার। তাই হাব গড়ার প্রস্তাব দেন তিনি। জমি দেওয়ার ব্যবস্থাও সরকার করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
এখানেই শেষ নয়, বাংলার তাঁতশিল্পীদের জন্য বস্ত্র হাব হবে রাজাবাজারে। এমনিতেই রাজ্য সরকার প্রতি বছর কলকাতা সহ বাংলার নানা প্রান্তে যে ‘তাঁতের হাট’–এর আয়োজন করে। এর বাইরেও যাতে তাঁরা সারা বছর ক্রেতা পান, সেই লক্ষ্যে হচ্ছে বস্ত্র হাব। এখানে সরাসরি তাঁতবস্ত্র বিক্রি করবেন তাঁতিরা। ফলে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হবে তাঁদের।
অন্যদিকে বেলগাছিয়ায় যে স্বর্ণ হাব গড়ে উঠবে, সেখান থেকে খুচরো বিক্রির পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হবে রপ্তানিতে। সিঁথিতে বাংলার স্বর্ণশিল্পীদের একটা বড় অংশ কাজ করেন। তাঁদের কাজের নিশ্চয়তা এবং ছোট স্বর্ণকাররা যাতে ক্রেতা পেতে পারেন, হাবের লক্ষ্য সেটাই। কিন্তু ট্রাম ডিপোগুলিকে বেছে নেওয়া হল কেন? জানা গিয়েছে, শহরে এখন ট্রামের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাই ফাঁকা জায়গা অনেকটা পড়ে আছে। সেই জায়গাকেই কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে হাবের পরিকাঠামো।