ভিনরাজ্য থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনের সব ভাড়া চোকাবে রাজ্য সরকার। শনিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন চিঠিতে মমতা লেখেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলছি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গগামী সমস্ত ট্রেনের পুরো ভাড়া মেটাবে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গগামী কোনও ট্রেনের যাত্রীদের থেকে কোনও ভাড়া না নেওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।’
টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকরা যে কষ্ট সহ্য করেছে তাঁকে সেলাম করি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে অন্যান্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত স্পেশ্যাল ট্রেনের পুরো ভাড়া বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কোনও যাত্রীকে এক পয়সাও ভাড়া দিতে হবে না।’
বলে রাখি, ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় মাস লকডাউনের পর বিশেষ ট্রেনে করে যখন সমস্ত শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য তখন চুপ করে বসে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই নিয়ে দিন কয়েক আগে আশঙ্কা প্রকাশ করে মমতা বলেন, ২০ লক্ষ শ্রমিক একসঙ্গে ফিরলে রাখব কোথায়? তবে বিরোধীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা অন্তত ৪২ লক্ষ।
শুক্রবার এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, সমস্ত রাজ্য স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলেও অনুমতি দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উত্তর প্রদেশে যখন ৩০০ ট্রেন প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে পৌঁছেছে তখন পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে মাত্র ২-৩টি ট্রেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে ১০৫টি ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়েছে তারা।
ভিনরাজ্য থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসা সমস্ত ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনের সব ভাড়া চোকাবে রাজ্য সরকার। শনিবার রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন চিঠিতে মমতা লেখেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলছি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গগামী সমস্ত ট্রেনের পুরো ভাড়া মেটাবে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গগামী কোনও ট্রেনের যাত্রীদের থেকে কোনও ভাড়া না নেওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।’
বলে রাখি, ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রায় দেড় মাস লকডাউনের পর বিশেষ ট্রেনে করে যখন সমস্ত শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য তখন চুপ করে বসে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই নিয়ে দিন কয়েক আগে আশঙ্কা প্রকাশ করে মমতা বলেন, ২০ লক্ষ শ্রমিক একসঙ্গে ফিরলে রাখব কোথায়? তবে বিরোধীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা অন্তত ৪২ লক্ষ।
শুক্রবার এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, সমস্ত রাজ্য স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলেও অনুমতি দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উত্তর প্রদেশে যখন ৩০০ ট্রেন প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে পৌঁছেছে তখন পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে মাত্র ২-৩টি ট্রেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরাতে ১০৫টি ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়েছে তারা।
এর আগে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের ১৫ শতাংশ ভাড়া রাজ্য সরকারকে দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ, তখন ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছিল রাজ্য। হঠাৎ তাদের এই মতবদল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।