নারদমামলায় অভিযুক্ত চার বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশের জন্য কৌশলে অনুমতি আদায় করে নিল সিবিআই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছ থেকে ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশের জন্য সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে সিবিআইয়ের অনুমতি আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিধানসভারসভার অধ্যক্ষ থাকতে রাজ্যপাল কেন? প্রশ্ন এড়াচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত চার বিধায়কের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বিধায়ক নেই। শুধু তাই নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও এখন বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করেছেন তিনি। বাকিরা তৃণমূলেরই বিধায়ক রয়েছেন।
নারদকাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন কেন বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশ করতে গোয়েন্দারা উদ্যোগী হচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অনুমতি চায়নি সিবিআই। আদালতে সেকথা স্বীকারও করেছে তারা।
আইনজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু পুরনো বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পর নতুন বিধানসভা এখনো তৈরি হয়নি, ফলে এই সময় অনুমতি দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের। কিন্তু ৬ বছর ধরে যে তদন্ত চলছে তাতে অভিযোগপত্র পেশের অনুমতি আদায়ের এই পদ্ধতি কতটা নৈতিক তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত হন শুভেন্দু অধিকারী-সহ সেই সময় একাধিক সাংসদ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেশের অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তবে এখনো তার কোনও জবাব মেলেনি বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।