বুধবারই তাঁর উচ্চতা নিয়ে নবান্নে দাঁড়িয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত পোহাতে না – পোহাতে সেই কটাক্ষ ফেরালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীকে বললেন, যাঁদের মাইক আর ঝাঁটা ধরার কথা, তাদেরই ধরতে দিন।
এদিন টুইটে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে ফের প্রশ্নবাণে বিঁধেছেন ধনখড়। তিনি লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় দল যাতে বাধাহীন ভাবে কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করুন মমতা। তাদের যে ভাবে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাতে আমি উদ্বিগ্ন। WHO-র প্রতিনিধিদের পূর্ব মেদিনীপুর ও বিষ্ণুপুরে লাল কার্পেট অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। তাতে কার কী লাভ হয়েছে?’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের সরাসরি কটাক্ষ, ‘যাদের মাইক বা ঝাঁটা ধরার কথা তাদেরই ধরতে দিন।’
বলে রাখি, মঙ্গল ও বুধবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। পার্ক সার্কাস, মল্লিকবাজার, এন্টালি, রাজাবাজার, খিদিরপুরের মতো এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষকে লকডাউন মানার ব্যাপারে সচেতন করেছেন তিনি। তবে রাস্তায় নামেননি মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ির ভিতরে বসেই লাউড স্পিকারে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার এক জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাফাইকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণ এড়াতে তাদের কী কী করা উচিত তা বুঝিয়ে বলেন। সাফাইকর্মীদের ঝাঁটা হাতে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। এদিন মমতার এই কর্মসূচিকেই রাজ্যপাল কটাক্ষ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও সংঘাতের সুর বুধবার চড়িয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেদিন নবান্নে রাজ্যপালকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। বলেন, ‘ওঁর কথা নিয়ে আমি কিছু বলব না। উনি লম্বা লোক। আমরা ছোটখাটো। উনি ৮ ফুট। আমরা ৫ ফুট।’