পশ্চিমবঙ্গে ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনা’ ও ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’— এই দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করতে চেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেটা প্রকাশ্যে আসে আজ, মঙ্গলবার। আর সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করা বিশেষ শর্তের কথা তুলে এবার টুইটে ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এদিন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধনকে পাঠানো সেই দুটো চিঠির প্রতিলিপি টুইট করে রাজ্য প্রশাসনিক দফতর। উল্লেখ্য, এর দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুর ব্যাপারে চিঠি দুটিতে একটা বিশেষ শর্তের উল্লেখ করেছেন মমতা। তা হল, রাজ্যে প্রকল্প দুটি সম্পূর্ণভাবে চালু করতে হলে তার ১০০ শতাংশ খরচ বহন করতে হবে কেন্দ্রকে। এবং এর পুরো ফান্ড রাজ্যের হাত থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। প্রকল্প চালানোর যে খরচ সেটা সরাসরি রাজ্য সরকারের হাতে দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই টাকা বিলি করবে রাজ্য।
এবার এর বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি এদিন টুইটে বিশেষত সরব হয়েছেন ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনা’ নিয়ে। রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, ‘এই প্রকল্প চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পোক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা। এখানে কাটমানিও নেই, মধ্যস্বত্বভোগীও নেই।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এর মধ্যস্বত্বভোগী হতে চায়, কেন? ঘোলাজলে মাছ ধরার সুযোগ খুঁজছে কি?’
এই প্রশ্নের শেষে রাজ্যপাল রাজ্যে আমফানের ত্রাণ কেলেঙ্কারি আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগের কথা মনে করিয়ে দিয়ে লেখেন, ‘আমফানের ত্রাণ বিলি আর চাল–ডাল বিলিতে কী হয়েছিল তা সবার জানা।’