গত বছর অগাস্টে শেষবার প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর ছবি। রাজ্যপালের সফরের সৌজন্যে। পিছন থেকে তোলা সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল বিছানার ওপর বসে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তার পর বছর ঘুরেছে। অষ্টমীর সন্ধ্যায় ফের বুদ্ধবাবুকে দেখতে তাঁর বাসভবনে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন রাজ্যপাল। সাক্ষাতের মুহূর্তের সেই ছবি টুইট করেছেন তিনি। কিন্তু এবার আর উঠে বসতে পারলেন না অশীতিপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্জ। বিছানায় শুয়েই রাজপালের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
শনিবার বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ৪টি ছবি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সঙ্গে লিখেছেন, ‘শ্রীমতী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে আজ প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা-সহ আরোগ্য কামনা করেছি।’
রাজ্যপাল যে ৪টি ছবি টুইট করেছেন, তার মধ্যে তিনটি ছবি বুদ্ধবাবুর ঘরের ভিতরের। তিনটি ছবিতেই দেখা যাচ্ছে বুদ্ধবাবুকে। তাতে শয্যাশায়ী বুদ্ধবাবুর নাকে লাগানো অক্সিজেনের নল। বিছানার চারদিকে থরে থরে সাজানো বই। দেওয়ালে ঝুলছে কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ ক্যালেন্ডার। সামনে রয়েছে একটি টেবিল। একটি ছবিতে হাত উঁচু করে কিছু বলছেন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা।
৭৬ বছর বয়সী বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিন অসুস্থ। অসুস্থতার জন্য দলের পলিটব্যুরোর সদস্যপদ ছাড়েন তিনি। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেডে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে নাকে নল লাগিয়েই মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু মঞ্চে ওঠেননি।
গত বছর ২৮ অগাস্ট বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। সেদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। সেই ছবিতে বিছানার ওপর বসে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল বুদ্ধবাবুকে। তার পর থেকে তাঁর কোনও ছবি প্রকাশিত হয়নি।
এদিন বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে ধনখড় বলেন, ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত সজ্জন ব্যক্তি। তাঁর অগাধ অভিজ্ঞতা। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁর আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’