২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাঘাত। মমতাকে কড়া চিঠি দিয়ে একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, সোমবার যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ মমতা এনেছেন তা মুখ্যমন্ত্রীসুলভ নয়। সঙ্গে রাজ্যপালের আশঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ একটি পুলিশ শাসিত রাজ্যে পরিণত হতে চলেছে।
এদিন একাধিক ক্ষেত্রে মমতাকে বেঁধেন ধনকড়। বলেন, ‘তিনি যে অসহযোগিতা করছেন এই অভিযোগ কখনও তাঁকে করেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মঙ্গলের জন্য আমি আপনাকে পরামর্শ দিয়েছি। আমি রাজনীতিক মানুষ নই। আমার দায়বদ্ধতা সংবিধানের প্রতি।’ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের পরমার্শ শোনার বদলে ‘সাংবিধানিক দূরত্ব’ তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ধনখড়।
সঙ্গে রাজ্যপালের দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বর দমিয়ে রাখতে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্রমশ পুলিশ শাসিত রাজ্যে পরিণত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ।‘ এমনকী পশ্চিমবঙ্গের বহু শীর্ষ পুলিশর্তার সম্পত্তির হিসাব নিলে অনেক সত্য সামনে আসবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ধনখড় বলেন, প্রকৃতপক্ষে ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেও মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে নানা অছিলায় তা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তা না করে তাঁর ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে তৎপর হওয়া উতিত বলে মন্তব্য করেছেন ধনখড়।
শেষে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ফের একবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, আমি ও আপনি দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করি আপনি আমার পরামর্শ মেনে কাজ করবেন।
বলে রাখি, সোমবার কলকাতায় করোনা পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্রের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর সামনেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে নাম না করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ করেন মমতা। বলেন, ‘সাংবিধানিক পদে বসে কেউ কেউ অসহযো’