রাজ্যে লকডাউন কার্যকর করতে পুরোপুরি ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অপদার্থ সরকারকে অবিলম্বে সরিয়ে আধাসামরিক বাহিনী নামিয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত করা হোক। বুধবার টুইটারে এই আবেদন জানালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এ দিন সকালে টুইটারে রাজ্যে লকডাউন বিধি বলবৎ করার জন্য আধাসামরিক বাহিনীর সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন ধনখড়। তিনি লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাস তাড়াতে লকডাউন বিধি যথার্থ ভাবে প্রয়োগ করা দরকার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অথবা ধর্মীয় সমাবেশ ১০০% বন্ধ করতে ব্যর্থ পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে বরখাস্ত করা হোক।’
সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘লকডাউন সফল করতে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী নিয়োগ করার বিষয়ে পর্যালোচনা করছি।’
রাজ্যে লকডাউন বিধি মানার বিষয়ে ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলে গত শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সতর্ক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লকডাউন বিধি প্রয়োগে প্রশাসনিক গাফিলতি হচ্ছে জানিয়ে এই নিয়ে এক সপ্তাহে দ্বিতীয় বার রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অভিযোগ, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করার স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা আরোগের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিচার করছথে না রাজ্য প্রশাসন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন বিধি ক্রমশ শিথিল করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন দোকান ও পরিষেবা চালু রাখায় বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে।’ বলা হয়েছে, সবজি, মাছ ও মাটন বিক্রির বাজারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনতার ভিড় করার উপরেও নিয়ন্ত্রণ জারি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মাছ, সবজি ও মাটন বিক্রিতে ছাড় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ধর্মস্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নীতি লঙ্ঘন করে বিপুল জনসমাবেশ হচ্ছে বলে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যপাল ধনখড় এর আগেও অভিযোগ জানিয়েছেন যে, সংক্রমণ রোধ করার বিষয়ে রাজ্যপালের দফতরের সঙ্গে কোনও রকম সংযোগ রাখছে না রাজ্য প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ২৭৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণের জেরে মারা গিয়েছেন ৭ জন।