কর্মসংস্কৃতি শিকেয় তুলে সরস্বতী পুজোয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ছুটির ঘনঘটা। সরস্বতী পুজোয় টানা ৫ দিন ছুটি ঘোষণা করল নবান্ন। ২৯ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যাবতীয় রাজ্য সরকারি দফতর ও সরকার পোষিত স্কুল।
সরস্বতী পুজো নিয়ে এবার প্রথম থেকেই ব্যাপক বিভ্রান্তি ছিল। পাঁজি অনুসারে এবার ৩০ জানুয়ারি বসন্ত পঞ্চমি। কারণ ওই দিন পঞ্চমি সূর্যোদয় পাচ্ছে। পঞ্চমি শুরু হচ্ছে ২৯ তারিখ সকাল ৮.২৬ মিনিটে। ৩০ তারিখ সকাল ১০টা পর্যন্ত থাকবে পঞ্চমি। এই পরিস্থিতিতে ৩০ তারিখ পুজো করলে তা সারতে হবে সকাল ১০টার মধ্যে। এত কম সময়ের মধ্যে ঠাকুরমশাই জোগাড় করা মুশকিল। তাই পঞ্চমি লাগতেই ২৯ তারিখ সরস্বতী পুজো করার মনস্থ করেছেন সবাই। আর এখানেই শুরু হয় ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তি।
বার্ষিক ছুটির ক্যালেন্ডারে ৩০ তারিখ সরস্বতী পুজো ধরে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ছুটি ঘোষণা করেছিল নবান্ন। কিন্তু পুজো এগিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রাজ্য সরাকারি কর্মীরা। কী করে পুজো করে অফিসে হাজিরা দেবেন তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই ধোঁয়াশা কাটিয়েছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি বুধবার থাকবে সরস্বতী পুজোর ছুটি। ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার তার পরদিনও ছুটি থাকবে রাজ্য সরকারি দফতর। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার বাড়তি ছুটি দিয়েছে সরকার। তার পর ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে শনি ও রবিবার।
যদিও এই ছুটিতে খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাদের দাবি, ধর্মঘটে ঘাড়ে চাড়া দিয়ে অফিসে নিয়ে আসে সরকার। অফিসে না এলে সার্ভিস পর্যন্ত ব্রেক হয়ে যায়। কর্মসংস্কৃতির নামে খর্ব করা হয় কর্মীদের অধিকার। সেই সরকারের সরস্বতী পুজোয় টানা ৫ দিন ছুটি নিছক দ্বিচারিতা ছাড়া আর কী? বিরোধী ঘেঁষা কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, এতেই স্পষ্ট, আসলে বিরোধীদের আন্দোলনকে ভাঙতে বনধের দিন কর্মীদের দফতরে আসতে বাধ্য করে সরকার। কর্মসংস্কৃতি নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।